Awas Yojona: আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ, আশাকর্মীদের বিরুদ্ধে এবার পোস্টার

Purba Burdwan: পোস্টারে লেখা, 'আবাস প্লাস যোজনায় ১ ও ২ নম্বর লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও নাম বাদ দেওয়া হল কেন? সাহেবগঞ্জ -২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ও আশাকর্মীদের জবাব চাই।'

Awas Yojona: আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ, আশাকর্মীদের বিরুদ্ধে এবার পোস্টার
তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ এলাকার বাসিন্দাদের। ডানদিকে সেই পোস্টার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2022 | 4:37 PM

পূর্ব বর্ধমান: আবাস যোজনা (Awas Yojona) যেন ক্রমেই গলার কাঁটা হয়ে উঠছে প্রশাসনের। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নে জেরবার রাজ্যের শাসকদল। এসবের মধ্যেই এবার আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায় প্রধান ও আশাকর্মীদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাতারে। রবিবার সকালে ভাতারের ওড়গ্রাম বাসস্ট্যান্ডের প্রতীক্ষালয়-সহ বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার নজরে আসে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আবাস প্লাস যোজনায় ১ ও ২ নম্বর লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও নাম বাদ দেওয়া হল কেন? সাহেবগঞ্জ -২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ও আশাকর্মীদের জবাব চাই।’ এই পোস্টারকে সমর্থন জানিয়ে এলাকাবাসীর একাংশ জানান, প্রকৃতই যাদের ঘর দরকার, তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ রেখে কেন অন্যদের রাখা হল, সেটা জানা দরকার। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, পোস্টার ফেলে কোনও কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যা থাকলে যথাযথ জায়গায় তা জানাতে হবে।

ওড়গ্রামের পাঠানপাড়ার বাসিন্দা শেখ আবুতোরাব। তিনি বলেন, “আমি প্রতিবন্ধী মানুষ। তালিকায় নাম ছিল আমার। এখন জানতে পারছি নাম বাদ পড়েছে। কেন নাম বাদ পড়ল সেটাই বুঝলাম না।” একই অভিযোগ শেখ মোক্তারেরও। তাঁর বক্তব্য, ঠিকমতো সার্ভে হয়নি। তাই বহু গরিব মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁর কথায়, প্রকৃত দাবিদাররাই এই পোস্টার দিয়েছে।

পাঠানপাড়ার বাসিন্দা নূর নেশা বিবির অভিযোগ, মাটির বাড়িতে ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকেন। সবসময় চিন্তা হয়, কখন ভেঙে পড়বে। অথচ এক একজনের দু’বার করে নাম এলেও তাঁর নাম একবারও তালিকায় আসেনি বলে অভিযোগ তাঁর। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এমনও হয়েছে আশাকর্মী সমীক্ষার কাজে যাননি, অথচ তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত প্রধান বিনয়কৃষ্ণ ঘোষের বক্তব্য, এই তালিকায় প্রধানের কোনও ভূমিকাই নেই। এ নিয়ে ব্লকস্তরে আশাকর্মী ও আইসিডিএস কর্মীরা সমীক্ষা করেছেন। এরপরই দ্বিতীয় তালিকায় দেখা যায় অনেক উপভোক্তার নাম বাদ গিয়েছে।

স্থানীয় সিপিএম নেতা সুধাকর মালিক বলেন, “এই পোস্টার তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল।” তাঁর অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকা সার্ভে করার মতো পরিস্থিতি নেই। আশাকর্মী ও আইসিডিএস কর্মীরা দুর্বল। শাসকদলের লোকজন ভয় দেখাচ্ছেন। ঠিকমতো সার্ভেও করতে পারেননি তাঁরা।

জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তায়ের দাবি, গরিব মানুষের নাম বাদ যাওয়ার বিষয়টি তাঁরা বিডিওকে জানাবেন। বিডিও অফিস ঘেরাও করা হতে পারে প্রয়োজনে। তবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “পোস্টার ফেললেই তো হবে না। নাম বাদ পড়া নিয়ে যদি কোনও সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে তা জানান। নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে। নিশ্চয়ই প্রশাসনের যাঁরা আধিকারিক আছেন, তদন্ত করে দেখে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্বচ্ছতা আনতেই যখন এই ব্যবস্থা, পোস্টার না ফেলে তদন্ত খতিয়ে দেখা হোক।”