Ketugram: কেতুগ্রামে বোমা বিস্ফোরণে পুরনো রাজনৈতিক খুনের যোগ? শুরু তরজা
Ketugram: পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এলাকায় অশান্তির উদ্দেশ্যেই পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা মজুত করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, গ্রামে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসীরা।

কেতুগ্রাম: বোমা বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে পরিত্যক্ত বাড়ির একাংশ। কেতুগ্রামের চেঁচুড়িতে এই বোমা বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণে পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করেছে রাজ্যের শাসকদল।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় কেতুগ্রামে খুন হন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী মিন্টু শেখ। যা নিয়ে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ চলছিল সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে। ফের বিস্ফোরণ হতেই আবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ মণ্ডলের বক্তব্য, এলাকার তৃণমূল কর্মীদের ভয় দেখাতেই CPIM পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা মজুত করে রেখেছিল। পাল্টা সিপিএম-র বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। আবার বিজেপির কটাক্ষ, ছাব্বিশের ভোটের আগে বোমা মজুতের মহড়া চলছে।
বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “বিরোধীরা অভিযোগ করেছে। অভিযোগ করাই তাদের কাজ। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা দুষ্কৃতী। পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার জন্য কেউ কেউ এমন কাজ করছে। এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাই।”
অন্যদিকে, চব্বিশের লোকসভা ভোটের সময় খুন হওয়া মৃত তৃণমূল কর্মী মিন্টু শেখের পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতীরা খুনের ঘটনায় সাক্ষীদের ভয় দেখাতে বোমা মজুত রেখেছিল।
মিন্টু শেখকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমাদের পরিবারের লোকদের নাম জড়িয়ে দিয়েছে। মৃত মিন্টু শেখ তৃণমূল করতেন। আমরাও তৃণমূল করি। আমাদের পরিবারের লোকেরা কয়েক মাস গ্রাম ছাড়া। এক আত্মীয়ের মৃত্যুতে গ্রামে আসতে পারে জানতে পেরেই মৃত মিন্টু শেখের লোকেরা বোমা মজুত করেছে।”
পুলিশ বলছে, কে বা কারা কেন ওখানে বোমা রেখেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কী ধরনের বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে চায় তারা। ঘটনাস্থলে আসতে পারে ফরেনসিক টিম। এদিন অবশ্য ফরেনসিক টিম আসেন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এলাকায় অশান্তির উদ্দেশ্যেই পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা মজুত করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, গ্রামে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসীরা।





