Akhil Giri: শুভেন্দুকে ‘বুনো ওলের’ সঙ্গে তুলনা করে মৎস্যমন্ত্রী বললেন, ‘আমিও বাঘা তেঁতুল, জব্দ করতে জানি!’
Purba Medinipur: শনিবার শুভেন্দু বলেন, ‘কোন জোঁকের মুখে কোন নুন দিতে হবে তা আমার জানা আছে। কোনটায় টাটা নুন আর কোনটায় দাদনপাত্র বাড়ের নুন, কখন কী ভাবে দিতে হবে, তা খুব ভাল করে জানা আছে।’
কাঁথি: আসন্ন কাঁথি পৌর নির্বাচনে একত্রিত ভাবে লড়াইয়ের উদ্দেশে তৃণমূলের একটি কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী অখিল গিরি। উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে আসন্ন নির্বাচনের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যু নিয়ে সরব হলেন তিনি। বলেন, “কাঁথি পৌর সভায় দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে। খুব শিগগিরই প্রকাশ হবে। উনি বুনো ওল তো আমিও বাঘা তেঁতুল। জব্দ করতে হয় কেমন জানা আছে।
রবিবার কাঁথি সাংগঠনিকভাবে একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে শুভ সূচনা করে মন্ত্রী অখিল গিরি ,উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, সংগঠনে সভাপতি বিধায়ক তরুণ মাইতি, প্রাক্তন মন্ত্রী ও এইচ ডি এ চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর এবং বিধায়ক উত্তম বারিক সহ বিশিষ্ট জনেরা। আসন্ন পৌর নির্বাচনে কাঁথি ও এগরা পৌর সভায় সব কটি ওয়ার্ডে নির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জয়লাভের জন্য ও নির্বাচনে রণ কৌশল ঠিক করার লক্ষ্যে এই কার্যালয় বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
এরপর মন্ত্রী অখিল গিরি সভামঞ্চে উঠে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন। বলেন, “কাঁথি পৌরসভা একটি পরিবারের হাতে ছিল প্রায় ৪০ বছর। দুর্নীতির ফাইল ভর্তি হয়েছে। সব তদন্ত চলছে। অল্পদিনেই সর্ব সমক্ষে আসবে। বহু দুর্নীতির ফাইল ওরা জ্বালিয়ে দিয়েছে। আস্থাভাজনদের জেরা করে বহু তথ্যের সন্ধান মিলেছে পার পাবে না ওরা। আগামী দু চারদিন পরেই সমগ্র দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হবে। রাজ্য সরকার মামলা করবে। জনসমক্ষে পোস্টার ও ফ্লেক্স তৈরি করে কাঁথি বাসীকে জানানো হবে কোন কোন খাতে কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে।” এরপর সুর চড়িয়ে বলেন, “তৃণমূল পুলিশ নিয়ে বেঁচে নেই। পাল্টা উনি সি আর পি অফ ছাড়া এক বিন্দু চলতে পারছে না। ওনার ভাই ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা পাচ্ছেন এতে বোঝাই যাচ্ছে কে জন নেতা! আমার নিরাপত্তা লাগে না আমি একাই ঘুরে বেড়াই, আমার ভয় নেই। উনি নিরাপত্তা ছেড়ে দেখাক তবেই বোঝা যাবে কত বড় নেতা।” গত দিনের শুভেন্দুর পাল্টা পদ্ম শিবিরকে কটাক্ষ করে বলেন, “আসন্ন পৌর নির্বাচনে বুনো ওলকে বাঘা তেঁতুল দিয়ে কীভাবে জব্দ করতে হয় তা আমার জানা আছে।”
এরপর মঞ্চে ওঠেন প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। তির্যক কটাক্ষ করেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে তিনি বলেন, “নাম বলতে পারছেন না বিরোধী দলনেতার পিতা। তিনি কোন দলে আছেন তাঁর পরিচয়হীন । কারণ গত দিনে দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে তমলুকে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী যোগ দিলেও যোগ দেননি বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারী। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা লোকসভার স্পিকারকে জানিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।”
আরও পড়ুন: BJP Woker Join TMC: দলে থেকে কাজ করতে না পেরে ফুলবদলে আবার তৃণমূলে যোগ বিজেপি কর্মীদের!