
কোলাঘাট: বয়স তিরাশি বছর। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না তাঁর। এমনকি, ছেলেরও নাম ছিল না ওই ভোটার তালিকায়। এই আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু হল বলে অভিযোগ উঠল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায়। মৃত বৃদ্ধার নাম কেসিমন বিবি। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে। এসআইআর আতঙ্কে বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।
কোলাঘাট থানার ভোগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোগপুর গ্রামে ২৩৩ নম্বর বুথের শেখ পাড়ায় বাড়ি কেসিমন বিবির। এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর জানতে পারেন, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে তাঁর নাম নেই। এমনকি, তাঁর ছেলেরও নাম নেই। এই নিয়ে কয়েক দিন ধরে আতঙ্কিত ছিলেন তিনি। গতকাল (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতার ছেলে শেখ নাসিরুদ্দিন বলেন, “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আমার মায়ের নাম ছিল না। আমারও নাম ছিল না। সেই আতঙ্কে মা ১৫ দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া করছিল না। মা কয়েকদিন ধরে চারিদিকে দৌড়াদৌড়ি করত। আমাদের অবশ্য ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সব রয়েছে।”
বৃদ্ধার মৃত্যুতে কমিশনকে আক্রমণ করে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য টুটুল মল্লিক বলেন, “দেশের স্বার্থে এসআইআর হওয়া উচিত। কিন্তু, এই নির্বাচন কমিশন এসআইআরের নামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় আমাদের নাম ছিল। কিন্তু, তখন কোনও আতঙ্ক ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে এসআইআর হয়েছিল।” এরপর তিনি বলেন, “তড়িঘড়ি এসআইআর করতে গিয়ে মানুষের উপর বোঝা ও আতঙ্ক চাপিয়েছে। আর সেই আতঙ্কের বলি কেসিমন বিবি।” বিজেপির অবশ্য দাবি, এসআইআরের নামে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তৃণমূলই।