শুধু TMC নয়, একই অভিযোগে বিদ্ধ পদ্ম শিবিরও, চাকরি দেওয়ার নামে শিক্ষকের থেকে ৮ লক্ষ টাকা ‘হাতালেন’ BJP নেতা
Nandigram: বিজেপি পরিচালিত সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশিস মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল। ষাট উর্ধ্ব এক বৃদ্ধ শিক্ষকের দাবি, ২০১৯ সালে আশিস মণ্ডল ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
নন্দীগ্রাম: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল কম বিদ্ধ হয়নি। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই অভিযোগে বিদ্ধ এক বিজেপি নেতা। চাকরি দেওয়ার নাম করে ৮ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ। নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন ষাটোর্ধ্ব এক শিক্ষকের।
বিজেপি পরিচালিত সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশিস মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল। অমিয়ো মাইতি নামে ওই বৃদ্ধ শিক্ষকের দাবি, ২০১৯ সালে আশিস মণ্ডল ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই মতো বেশ কয়েক দফা মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা নেয় উপপ্রধান আশীস মণ্ডল বলে অভিযোগ শিক্ষকের। পরবর্তীকালে চাকরি তো হয়নি। তারপর আট লক্ষ টাকা আর ফেরতও দেননি ওই বিজেপি নেতা। বাধ্য হয়ে তিনি নন্দীগ্রাম থানার দারস্থ হলেন ওই বৃদ্ধ শিক্ষক। অমিয় মাইতি বলেন, “আমার ছেলেকে চাকরি করে দেওয়ার জন্য আট লক্ষ টাকা দিয়েছি। তার মধ্যে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা ক্যাশ দিয়েছি। বাকি চেকের মাধ্যমে দিয়েছি। আমি আশীসের মামার ছেলে তাপস প্রামাণিককে পড়াতে যেতাম। সেই সাপেক্ষে পরিচয়। আশীস সেই সুযোগে তাপসকে নিয়ে এসে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।”
যদিও, এই বিষয়ে অভিযুক্ত আশীসের দাবি, রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে কোণঠাসা করতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যোগ সাজস করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সদস্য সুদীপ দাস বলেন, “প্রকৃত দোষী হলে দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।” ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব মনসুর আলি, “চাকরি দেওয়ার নামে আট লক্ষ টাকা নিয়েছিল। দিতে পারেনি। আসলে ওরা চাকরি দিতেও পারে না।”