AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Video: সত্যিই চিপস চুরি করেনি ছেলেটি, সামনে এল CCTV ফুটেজ

Panskura: চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খায় কৃষ্ণেন্দু। তমলুক মেডিক্যাল কলেজে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। কীটনাশক খাওয়ার আগে নিজের খাতায় মায়ের উদ্দেশে কৃষ্ণেন্দু লিখেছিল, সে চিপসের প্যাকেটটি চুরি করেনি। কুড়িয়ে পেয়েছিল।

| Edited By: | Updated on: May 23, 2025 | 7:14 PM
Share

পাঁশকুড়া: ‘আমি কুড়কুড়াটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। চুরি করিনি।’ নিজের খাতায় মাকে লিখেছিল সপ্তম শ্রেণির কৃষ্ণেন্দু দাস। এদিন প্রকাশ্যে এল ওই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ। নাবালক যে মিথ্যা কথা বলেনি, সেই ছবিই ধরা পড়েছে সিসিটিভি-তে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দোকানের সামনে পড়েছিল চিপসের প্যাকেটটি। সেটাই কুড়িয়ে নিয়েছিল ওই নাবালক।

গতকাল চুরির অপবাদে নাবালকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় পাঁশকুড়ার গোসাইবেড় গ্রামে। রবিবার স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকানে চিপস কিনতে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া কৃষ্ণেন্দু দাস। দোকানদারকে দেখতে না পেয়ে সাইকেল নিয়ে চলে আসে সে। কিছুক্ষণ পর তাকে মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করে ধরে ফেলে শুভঙ্কর। অভিযোগ, চুরির অপবাদ দিয়ে কৃষ্ণেন্দুকে ভরা বাজারে মারধর করা হয়। কান ধরে ওঠবস করানো হয়।

চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খায় কৃষ্ণেন্দু। তমলুক মেডিক্যাল কলেজে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। কীটনাশক খাওয়ার আগে নিজের খাতায় মায়ের উদ্দেশে কৃষ্ণেন্দু লিখেছিল, সে চিপসের প্যাকেটটি চুরি করেনি। কুড়িয়ে পেয়েছিল।

সে যে সত্য বলেছিল, সেটাই ধরা পড়ল ওই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সাইকেল নিয়ে দোকানে যায় কৃষ্ণেন্দু। দোকানের ভিতরে গিয়ে দোকানদারের খোঁজ করে। কাউকে দেখতে না পেয়ে বেরিয়ে আসে। তারপর দোকানের সামনে পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেটটি তুলে নিয়ে চলে যায়। এরপরের আর একটি ফুটেজে দেখা যায়, ওই দোকানে সন্তানকে নিয়ে আসেন কৃষ্ণেন্দুর মা। তিনি সেখানে সন্তানকে শাসন করেন। সেইসময় দোকানদারকে কৃষ্ণেন্দুর পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দেখা যায়।

এদিকে কৃষ্ণেন্দুর মৃত্যুর পর থেকে পলাতক শুভঙ্কর। গতকাল তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এই নিয়ে শুভঙ্করের বাবা সূর্যকান্ত দীক্ষিত বলেন, “গতকাল অনেকে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে। আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার ছেলের দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমার ছেলে নির্দোষ।”

পলাতক দোকানদারের স্ত্রী নিশা দীক্ষিত বলেন, “গতকাল ওই নাবালকের দেহ আমাদের বাড়ির সামনে রেখে হামলা চালায়। বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে ছিলাম। বাচ্চাগুলি ভয়ে আর্তনাদ করে। ২০০-২৫০ জন এসেছিল। প্রত্যেকের হাতে বাঁশ-লাঠি ছিল। ওরা বলে, এর এক বাচ্চাকে নিয়ে আয়। বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে রয়েছি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, সঠিক বিচার হবে।