Debanshu Bhattacharyya: ‘ওঁকে ভোট দিলে একটা কথা ভাববেন’, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মোক্ষম’ বিষয়টা স্মরণ করালেন দেবাংশু
Debanshu Bhattacharyya: সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে দেবাংশু আরও বলেন, "ঠান্ডা ঘরে বসেছিলেন প্রার্থী হচ্ছেন। ভোট যদি ভুলে দিয়েও দেন, আবার ভোট নিয়ে কলকাতায় ফিরে যাবেন। পাঁচ বছরে এদিকে আর ফিরেও তাকাবেন না, কেন তাকাবেন না জানেন?"
পূর্ব মেদিনীপুর: ‘দু’দিন পরে ওঁ রাজনীতি ছেড়ে দিলে কী করবেন?’ তমলুকের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে বিঁধলেন তমলুকের শাসক প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম দিবসের মঞ্চ থেকে দেবাংশু বললেন, “রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছেন আপনারা। তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠীত হওয়ার পিছনে আপনাদের লড়াই অনস্বীকার্য।” তখনই তিনি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে বলেন, “আমি শুধু একটা জিনিস দেখলাম, বিজেপির তরফ থেকে যিনি প্রার্থী হতে পারেন বলে নাম শোনা যাচ্ছে, তমলুকে এসেছিলেন, প্রচার করে গিয়েছেন, আজ নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দুবাবু এসেছেন, তাঁকে কি আপনারা দেখতে পেয়েছেন? নন্দীগ্রাম দিবস নিয়ে তিনি কি একটি বাক্যও ব্যয় করেছেন?”
সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে দেবাংশু আরও বলেন, “ঠান্ডা ঘরে বসেছিলেন প্রার্থী হচ্ছেন। ভোট যদি ভুলে দিয়েও দেন, আবার ভোট নিয়ে কলকাতায় ফিরে যাবেন। পাঁচ বছরে এদিকে আর ফিরেও তাকাবেন না, কেন তাকাবেন না জানেন? যে মানুষটা রাজনীতিতে ছিলেন না, হঠাৎ করে তিনি চার দিন আগে রাজনীতিতে যোগ দিলেন। ভোট জেতার পর যদি তিনি জিতে যান. তারপর হঠাৎ ৬ মাস পরে তাঁর যদি মনে হয়, রাজনীতিটা ভাল লাগছে না। রাজনীতি তাঁর জন্য নয়, তখন তিনি রাজনীতি ছাড়লে সাংসদ পাবেন কোথায়?”
প্রসঙ্গত, বিচারপতির পদ থেকে অবসর দেওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একাধিক মঞ্চে দেখা গিয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। কিছুদিন তমলুকে শিবরাত্রির দিন গিয়েছিলেন অভিজিৎ। কিন্তু সেবার তিনি নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে দেখা করেননি। সেই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছেন দেবাংশু।
দেবাংশু বলেন, ” আমার বিশ্বাস মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীর পাশেই থাকবেনষ আপনাদের আর্শীবাদ যদি পাই, ছুটতে পারব, দৌড়াতে পারব, কাজ করতে পারব। আর একজন ৬১ বছরের ব্যক্তির থেকে ২৮ বছরের যুবক জোরে দৌড়তে পারবে।”