AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Erosion: কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদীর পাড়ে ভাঙন, বিপদসীমার ওপর বইছে জলস্তর

Purbo Medinipur Erosion: শনিবার রাত অব্দি তা আরও বেড়ে পৌঁছায় ৫.৪০ মিটারে। অথচ চরম বিপদসীমা মাত্র ৫.৭৯ মিটার। হাতে সামান্য ব্যবধান থাকলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কেলেঘাই নদীর দুই তীরবর্তী গ্রামে। পূর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে পুজোর মরশুমে ফের জলমগ্নতার শঙ্কায় ভুগছেন এলাকাবাসী।

Erosion: কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদীর পাড়ে ভাঙন, বিপদসীমার ওপর বইছে জলস্তর
এলাকায় বাড়ছে বিপদImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2025 | 4:58 PM
Share

 পূর্ব মেদিনীপুর: অবিরাম বর্ষণের জের কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদীর পাড়ে ভাঙন। প্রাথমিক বিপদসীমা অতিক্রম করল জলস্তর। সতর্ক প্রশাসন। রাজ্যের পাশাপাশি উপকূলের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেও চলছে প্রবল বৃষ্টি। আর এর জেরে ফের উত্তাল কেলেঘাই নদী। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর প্রাথমিক বিপদসীমা ওপর বইতে শুরু করেছে। শুক্রবার রাত থেকেই জল এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.১৮ মিটারে।

শনিবার রাত অব্দি তা আরও বেড়ে পৌঁছায় ৫.৪০ মিটারে। অথচ চরম বিপদসীমা মাত্র ৫.৭৯ মিটার। হাতে সামান্য ব্যবধান থাকলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কেলেঘাই নদীর দুই তীরবর্তী গ্রামে। পূর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে পুজোর মরশুমে ফের জলমগ্নতার শঙ্কায় ভুগছেন এলাকাবাসী। যদিও এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন ভগবান পুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সুন্দর পণ্ডা ও পটাসপুরের বিডিও শান্ত চক্রবর্তী।

নদীর জলস্তর বাড়তেই বাঁধে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। সেচ দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত পাঁচটি জায়গায় প্রায় ১৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি পটাশপুর ১ ব্লকের গোপালপুরের মাধবচকে। সেখানে দুটি আলাদা স্থানে প্রায় ৫৫ মিটার বাঁধ ও তার পাশের পাকা রাস্তার অংশ ভেঙে নদীতে নেমে গিয়েছে।

হঠাৎ এই ধস যাতায়াত ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। অপরদিকে চিন্তিপুর ভেড়ির পুরনো বাঁধেও ভয়াবহ ধস। প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ বাঁধ ভেঙে গেছে সেখানে। ধসের ফলে নদীর ধারে থাকা একটি বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ে যায়। আতঙ্কে পরিবারটিকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

বাঁধে ধস নামতেই প্রশাসন তৎপর হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। রাতে বাঁধে নজরদারির জন্য সেচ দফতরের তরফে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে গোপালপুর, মাধবচক ও চিন্তিপুরের ভাঙন এলাকাগুলোতে অস্থায়ীভাবে মেরামতির কাজ চলছে।

বিডিও শান্ত চক্রবর্তী জানান, “গোপালপুর এলাকায় বাঁধের ধস সবচেয়ে আশঙ্কাজনক হলেও রবিবার সকাল থেকে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ” আমগাছিয়া বাংলো সেচ দফতর সূত্রে খবর, নবমী থেকে টানা বৃষ্টি চলছে তাতেই কেলেঘাইয়ের জলস্তর দ্রুত বেড়ে শুক্রবার রাতেই প্রাথমিক বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। শনিবার রাত পর্যন্ত তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪০ মিটারে। চরম বিপদসীমা ৫.৭৯ মিটার ছুঁতে আর মাত্র কয়েক মিটার বাকি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে। ”

এদিন ভগবানপুর এলাকার নাঙ্গলকাটাতে উপস্থিত ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সুন্দর পণ্ডা ও ভগবানপুর ১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌরভ কান্তি বেরা ।” অরূপ বাবু বলেন, “এই নিম্ন চাপের বৃষ্টি তে নদীর জল বেড়েছে কিন্তু এখন কোন ভয়ের কারণ নেই। তিনি এবং উনার প্রশাসন সবসময় সজাগ রয়েছে। গত বন্যার সময় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে ছিলাম আছি ও আগামী দিনে মানুষ পাশে থাকব। এদিন কেলেঘাই নদী ও কপালেশরি নদীর মিলন স্থল নাঙ্গলকাটার বর্তমান পরিস্থিতি পরিদর্শন করলাম।”