Tainted List: প্রাক্তন TMC কর্মী, এক সময় BJPও করেছেন, হয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভোট প্রচার, তাঁরই স্ত্রী নাম দাগিদের তালিকায়
purba medinipur: তৃণমূল জেলা কমিটির জয়দেব বর্মণ বলেন, "অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নিজের ইলেকশন এজেন্টের স্ত্রী নাম রয়েছে ওই তালিকায়। সেই জায়গায় আমাদের স্বাভাবিক প্রশ্ন বিজেপির মুখ ও মুখোশ আলাদা হয়ে গিয়েছে। যারা মুখে বড় বড় কথা বলছেন তাঁদেরই লোকের নাম এই তালিকায় রয়েছে।"

পূর্ব মেদিনীপুর: এক সময় তৃণমূল করতেন দীপক দেবশর্মা। পরে দল ছেড়ে তিনি বিজেপি-তে যোগ দেন। তৃণমূলের দাবি, ওই ব্যক্তি একসময় তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভোট প্রচারকও ছিলেন। এবার সেই দীপকের স্ত্রীর নাম উঠল অযোগ্যদের তালিকায়। আর তারপরই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। যদিও, সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি এই ব্যক্তিকে চেনেন না।
তমলুকের সাংসদ বলেন, “দীপক দেবশর্মা নাম মনে করতে পারি না। মুখও মনে করতে পারছি না। আমার চিফ ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন অশোক দিন্দা। তবে আমি বলতে চাই, যেহেতু আমার সঙ্গে এই নাম জড়িয়েছে তাই ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত। সিবিআই তাঁকে এখনই ডেকে পাঠাক। এখনই খোঁজ শুরু করুক কাকে টাকা দিয়েছে, কত টাকা দিয়েছে। এটা লুকোনোর কোনও প্রশ্নই ওঠেনি।”
তৃণমূলের দাবি, দীপক দেবশর্মা বিজেপির মণ্ডল কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। চব্বিশ সালে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কনভেনর ছিলেন। যদিও এই নিয়ে দীপক দেবশর্মার সাফাই, “আমার স্ত্রী নিজের যোগ্যতাই চাকরি পেয়েছেন। সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই তিনি চাকরি পেয়েছেন। তবে এটি বিচারাধীন বিষয়। আমি আগে তৃণমূল কংগ্রেস করতাম। পরে বিজেপি বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। এই মুহূর্তে আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক নেই।” তবে এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
তৃণমূল জেলা কমিটির জয়দেব বর্মণ বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নিজের ইলেকশন এজেন্টের স্ত্রী নাম রয়েছে ওই তালিকায়। সেই জায়গায় আমাদের স্বাভাবিক প্রশ্ন বিজেপির মুখ ও মুখোশ আলাদা হয়ে গিয়েছে। যারা মুখে বড় বড় কথা বলছেন তাঁদেরই লোকের নাম এই তালিকায় রয়েছে।” যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবব্রত পট্টোনায়ক বলেন, “উনি আগে তৃণমূল করতেন। তৃণমূল নেতাদেরকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময় লোকসভা ভোটের আগে উনি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এখন ওঁর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দলের কোনও পদেও উনি নেই। তৃণমূল মিথ্যা অপপ্রচার করছে।”
