Murder: শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল জঙ্গলে, হাতে থাকা শিবের উল্কিই ধরিয়ে দিল ৩ খুনিকে
Murder: তের নাম রাজীব দাস (২০)। বাড়ি দিঘা থানার মণ্ডলা গ্রামে। পেশায় হোটেল কর্মী। গত ৫ মে থেকে সে নিখোঁজ ছিল বলে পরিবরার সূত্রে খবর। তারপর থেকেই পুরোদমে চলছিল তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত মেলে সাফল্য।

রামনগর: মদ খাইয়ে গলায় গামছা জড়িয়ে খুনের অভিযোগ। দেহ কাটা হল মাংস কাটার দা দিয়ে! রামনগরের জঙ্গল থেকে উদ্ধার মুণ্ডুহীন দেহ। চাঞ্চল্য ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ২ ব্লকে। গ্রেফতার ৩। শনিবার ধৃতদের তোলা হল কাঁথি আদালতে। ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের।
গত ৯ মে রামমনগর ২ ব্লকের পালধুই অঞ্চলের গোবিন্দপুর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যক্তির মুণ্ডুহীন দেহ। যদিও সেই সময় তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। এলাকার বাসিন্দারাই দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরদিন খানিকটা দূরে উদ্ধার হয় কাটা মাথা। কিন্তু যেভাবে ওই মৃতদেহে পচন ধরেছিল তার ফলে এলাকার বাসিন্দারা কেউই চিনতে পারেননি। মৃতের হাতে ছিল শিবের উল্কি। হিন্দিতে লেখা মহাকাল। সেই সূত্র ধরেই অবশেষে পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। মৃতের নাম রাজীব দাস (২০)। বাড়ি দিঘা থানার মণ্ডলা গ্রামে। পেশায় হোটেল কর্মী। গত ৫ মে থেকে সে নিখোঁজ ছিল বলে পরিবরার সূত্রে খবর। তারপর থেকেই পুরোদমে চলছিল তল্লাশি।
মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ধরে শুরু হয় খোঁজ। শেষ পর্যন্ত দিঘা থানার সরিপুর গ্রামের সোমনাথ দাস, রামনগর থানার শেখ সামিউল ইসলাম, এবং হামিরপুরের রাজীব বরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ মে সকলে একযোগে মদের আসর বসিয়েছিল। সেখানেই কোনও বচসার মধ্যে গলায় গামছা জড়িয়ে খুন করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তারপর মাংস কাটার দা দিয়ে দেহ থেকে মুন্ডু আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল জঙ্গলে। তবে ধৃতদের জেরা করে আরাও কিছু তথ্য আদায় করতে চাইছে পুলিশ।
