Digha: হু হু করে পড়ছে শুঁটকি মাছের দাম, মন্দারমণির গোডাউনে পড়ে কেজি কেজি শুঁটকি, কারণটা কী
Fishermen: ব্যবসার লোকসান নিয়ে সরব হয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠন। জুনপুটে শয়ে শয়ে গোডাউনে জমা রয়েছে বিপুল পরিমাণ শুঁটকি।

দিঘা: হাজার হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের পেট চলে শুঁটকি মাছের ব্যবসা থেকে। এবছর সেই ব্যবসায় বড় ধাক্কা। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পড়ে আছে শুঁটকি মাছ। জমা হয়েছে গোডাউনে। বিক্রিই হচ্ছে না। কোনও কোনও শুঁটকি মাছের দাম কমে অর্ধেক হয়েছে। দাম না পাওয়ায় ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে ব্যবসা। দিঘা, মন্দারমণি, জুনপুট এলাকায় প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মৎস্যজীবী এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কবে এর থেকে রেহাই মিলবে, সেটাই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। মৎস্য দফতরও কোনও আশ্বাস দিতে পাচ্ছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
‘শুঁটকি মাছের দাম নেই, ঘটি মৎস্যজীবীদের পেটে ভাত নেই’, এমন স্লোগান তুলতে শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। মন্দার ধাক্কা সামলাতে জেরবার পূর্ব মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীরা। এই এলাকার শুঁটকির কারবার খুবই প্রসিদ্ধ। ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতি বছর সারাদেশে ৩০ থেকে ৪০ গাড়ি শুঁটকি যায়। রফতানিও হয় অনেক মাছ। এবার মাত্র ৫ গাড়ি শুঁটকি বিক্রি হয়েছে, তাও বহু কষ্টে। মূলত কেরিপাতা, চিংড়ি, পাটিয়া, ভোলা, তাপড়া, আমুদি মাছের শুঁটকির চাহিদা বেশি থাকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ও বাণিজ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৪০০০.০৯ মেট্রিক টন শুঁটকি রফতানি হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৮,৫০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ১৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু রফতানি কমে যাওয়ায় সেই শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে না।
ব্যবসার লোকসান নিয়ে সরব হয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠন। জুনপুটে শয়ে শয়ে গোডাউনে জমা রয়েছে বিপুল পরিমাণ শুঁটকি। মন্দারমণি এলাকার এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, ধূপগুড়ি আর অসমে কিছু শুঁটকি মাছ রফতানি হচ্ছে। মূলত ভোলা, এন্টি-র মত সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি যাচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শ্যামল বলেন, “রাজ্য মৎস্য দফতরের কোনও হেলদোল নেই।” তিনি জানান, গঘুয়া শুঁটকি ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হত। এখন সেটা কমে প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৬০-৭০ টাকা কেজি হয়েছে। এছাড়া পোলট্রির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত শুঁটকি মাছের দাম ৩০-৩২ টাকা প্রতি কেজি থেকে কমে ১৫ টাকা প্রতি কেজিতে পৌঁছেছে।

