Hindu government: ‘ছাব্বিশে হিন্দু সরকার হবে’, সেকুলার দেশে শুভেন্দুর রণহুঙ্কার
Hindu government: এদিন মেদিনীপুরের কর্মসূচি থেকে কার্যত হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমরা সব হিন্দু বাড়িতে গীতা পৌঁছে দেব। হিন্দু ধর্ম জিন্দাবাদ। দুনিয়ার হিন্দু এক হও।” শুভেন্দু যখন এ কথা বলছেন তখন মঞ্চের সামনে থেকে লাগাতার উঠছে জয় শ্রীরাম স্লোগান।
চলে এসেছে ২৫। বছর ঘুরলেই ফের রাজ্যে বেজে যাবে বিধানসভা ভোটের দামামা। তবে ভোট যে আসছে তার রণডঙ্কা যেন এখন থেকেই বাজতে শুরু করে দিয়েছে। ঘর গোছাতে ময়দানে বিজেপি, ছেড়ে কথা বলছে না তৃণমূলও। ‘হিন্দু সরকার হবে ছাব্বিশে।’ এদিন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে চলা কর্মসূচিতে এ ভাষাতেই গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাফ বলেন, “সব হিন্দুরা এক আছে তো? হিন্দু সরকার হবে ছাব্বিশে। হিন্দু সরকার হবে।” যদিও এদিনই আবার ডায়মন্ড হারবারে সভা করেন তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপির তুলোধনা করেন তিনি।
যদিও এদিন মেদিনীপুরের কর্মসূচি থেকে কার্যত হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমরা সব হিন্দু বাড়িতে গীতা পৌঁছে দেব। হিন্দু ধর্ম জিন্দাবাদ। দুনিয়ার হিন্দু এক হও।” শুভেন্দু যখন এ কথা বলছেন তখন মঞ্চের সামনে থেকে লাগাতার উঠছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। গেরুয়া সাজে ভাসছে গোটা এলাকা। যদিও অভিষেকের প্রশ্ন, “আজকে যাঁরা ধর্মের নামে অত্যাচারিত হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের সরকার, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নীরব কেন?”
এই খবরটিও পড়ুন
এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রকে নিজের দায়িত্বের কথাও এদিন মনে করান অভিষেক। স্পষ্ট বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যাঁরা অত্যাচার করছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা কেন্দ্র সরকার নিচ্ছে না কেন? নির্বাচন নেই বলে?” প্রসঙ্গত, দীর্ঘ চাপানউতোরের মধ্যে এদিন বাংলাদেশে ছিল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলার শুনানি। কিন্তু, নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীদের। মেলেনি জামিন। এমতাবস্থায় কী এবার ওপার বাংলার পাশাপাশি এবার বাংলার নির্বাচনেও বড় হাতিয়ার হতে চলেছেন চিন্ময়? রাজনীতির কারবাবিরা বলছেন, উত্তরটা দেবে সময়ই।