AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Protest for 5G Mobile: ‘১০ হাজার টাকার ৪জি নয়, ৫জি মোবাইল চাই’, ক্ষোভে ফুঁসছেন আইসিডিএস কর্মীরা

5G Mobile Phones: বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, তাঁদের মোট সংখ্যা প্রায় ২৩৮। এক একজনের কাঁধে প্রায় দুই থেকে তিনটি আইসিডিএস কেন্দ্রের দায়িত্ব। সিংহভাগ কাজই এখন ফোনে করতে হয়। অথচ সেই কাজের পরিকাঠামো, কাজের সহযোগিতা কিছুই তাঁদের দফতর থেকে করা হচ্ছে না।

Protest for 5G Mobile: ‘১০ হাজার টাকার ৪জি নয়, ৫জি মোবাইল চাই’, ক্ষোভে ফুঁসছেন আইসিডিএস কর্মীরা
আন্দোলনে আইসিডিএস কর্মীরাImage Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2025 | 7:56 PM
Share

পাঁশকুড়া: ৪জি নয়, ৫জি ফোন চাই। অঙ্গনওয়ারি কর্মীদের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল কোলাঘাট আইসিডিএস অফিস চত্ত্বরে। উঠল স্লোগান। দীর্ঘ সময় ধরে চলল বিক্ষোভ। সকলের একটাই কথা। পুরো কাজই এখন মোবাইল নির্ভর হয়ে পড়েছে। অচথ এতদিন সবটাই নিজেদের মোবাইল থেকেই করতে হত। এখন পুরনো প্রযুক্তির ফোন কেনার জন্য এখন মাত্র ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী রিচার্জের জন্যও নাম মাত্র টাকা দেওয়া হয়। তাই কোনওভাবেই নতুন ফোনের জন্য ১০ হাজার টাকা নিতে তাঁরা নারাজ। সে কারণেই বিক্ষোভে পাঁশকুড়া ২ আইসিডিএস প্রজেক্টের অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা।

সমস্যা কোথায়? 

বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, তাঁদের মোট সংখ্যা প্রায় ২৩৮। এক একজনের কাঁধে প্রায় দুই থেকে তিনটি আইসিডিএস কেন্দ্রের দায়িত্ব। সিংহভাগ কাজই এখন ফোনে করতে হয়। অথচ সেই কাজের পরিকাঠামো, কাজের সহযোগিতা কিছুই তাঁদের দফতর থেকে করা হচ্ছে না। এখন শুধু মাত্র ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্ষোভের সুরেই এক আন্দোলনকারী বললেন, ১০ হাজার টাকায় কী উন্নত প্রযুক্তির ফোন হয়। পাশ থেকে আর একজন বলে উঠলেন, “২ বছর ধরে আমরা সব নিজেদের ফোনেই কাজ করছিলাম। বাচ্চাদের অ্য়াটেনডেন্স থেকে হোম ভিজিট সবই ফোনে করতে হয়। এর জন্য ১৬৬ টাকা দেওয়া হয়। মা শিশুদের নাম তোলা থেকে, ফেস ভেরিফিকেশন সব আমাদের মোবাইল থেকেই করতাম। ফেস ভেরিফিকেশনের জন্য কিছুতেই ৪জি ফোনে কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ৫জি ফোন কিনতে বাধ্য হয়ে পড়েছি।”

কেন ৪জি ফোন? 

বিক্ষোভের মাঝেই ক্ষোভের সুরে সুমিতা গুছাইত বললেন, “ওরা বলছে যদি কোনও কারণে চাকরি ছেড়ে দিই, বা অবসর নিই তাহলে ফোনটা অফিসে জমা দিতে হবে। আমরা এই শর্ত মেনে নিতে পারব না।” মিতালি খাতুনও বলছেন একই কথা। স্লোগান থামিয়ে বললেন, “আমরা তো এতদিন নিজেদের ফোন থেকেই কাজ করছিলাম। নিজেরই সিমে কথা বলছিলাম। ওইভাবেই বলতে হচ্ছিল। রিচার্জের টাকাও আসে অতি সামান্য। ১৬৬ টাকা। এখন নতুন ফোনে যে সিমটা লাগবে সেটা কে দেবে? অফিসের তো সিমটা দেওয়া দরকার। রিচার্জটা কে দেবে?”

৪জি ফোন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আর একজন বলে উঠলেন, “১০ হাজার টাকায় যে ফোন দেবে বলছে সেটা ৪জি। এখন তো ৪জি ফোনে কোনও কাজ হচ্ছে না। ৫জি ফোন কিনতে হচ্ছে। সেখানে আমরা এক একজন দু’টো থেকে তিনটে করে সেন্টার চালাচ্ছি। একটা সেন্টারের কাজ করতে গিয়েই যেখানে আমরা অস্থির হয়ে যাচ্ছি সেখানে একটা ৪জি ফোনে কীভাবে আর তিনটে সেন্টারের কাজ করব? এক মাস দু’মাসের মধ্যে যদি সেই ফোন হ্য়াং হয়ে যায় তাহলে সেই দায়িত্ব কে নেবে?” যদিও বিক্ষোভের সুর চড়লেও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।