
পূর্ব মেদিনীপুর: হুমায়ুন কবীর নতুন দল গড়লে তৃণমূলের ক্ষতি হবে। মন্তব্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। “অনেককে দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে আনতে পারেনি। আমি মুর্শিদাবাদকে তৃণমূলময় করে দিয়েছিলাম। হুমায়ুন কবীর চলে গেলে ২২ আসনে কংগ্রেস, সিপিএম জোট আর বিজেপি জিতবে।” জোর গলায় বলতে শোনা গেল শুভেন্দুকে।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইতিহাসের পাতাও ওল্টাতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। কীভাবে তিনি মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তার করেছিলেন তার বিশদ ব্যাখ্য়াও করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ছিল না। ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়, পূর্ণেন্দু বসু, ইন্দ্রনীল সেন অনেককে দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেও মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে আনতে পারেননি। আমাকে ২০০৫ থেকে ইন্দ্রনীলের সহযোগী করেছিলেন। ২০১৬ থেকে পূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাকে তৃণমূলময় করে দিয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ক্রেডিট নেই।” শুভেন্দুর এ মন্তব্য নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোর।
তবে পাল্টা তুলোধনা করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়কে। কটাক্ষের সুরেই বলেন, “ওনার মনে হয় তৃণমূলের প্রতি প্রেমটা আবার জেগে উঠেছে। তৃণমূলের ভাল-মন্দের উনি এখন বিচার করছেন।” তৃণমূল-বিজেপিকে এক সুতোয় গেঁথে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “আমরা তো সবসময় বলি তৃণমূল মানেই বিজেপি, আর বিজেপি মানেই তৃণমূল! অবস্থানগত পরিবর্তন, পতাকাটা আলাদা হতে পারে। কিন্তু জন্মটা সব আরএসএসেরই। ফলে উনি ভাল চিনবেন।”