CPM-Congress Win: ফের জয়জয়কার জোটের! হলদিয়ায় জিতল বাম-কংগ্রেস, খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল-বিজেপি
Haldia: শুক্রবার টানটান উত্তেজনার মধ্যে হলদিয়া বন্দরের ডক ইন্সটিটিউটের পরিচালন কমিটির নির্বাচন হয়েছিল। রাজ্য পুলিশ ও সিআইএসএফের ঘেরাটোপে ভোট দেন বন্দরের স্থায়ী শ্রমিক,কর্মচারী ও আধিকারিকরা।
হলদিয়া: নন্দকুমার, মহিষাদল, এগরা সমবায় মডেলের পর সাগরদিঘি উপনির্বাচন পরবর্তী হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে ‘প্রগতিশীল’ জোটের জয় জয়কার। দৌড়ে দম হারালো তৃণমূল ও বিজেপি। হলদিয়া বন্দর পরিচালন কমিটি ফের সিআইটিইউ-র দখলে,খাতাই খুলতে পারলো না তৃণমূল-বিজেপি।
শুক্রবার টানটান উত্তেজনার মধ্যে হলদিয়া বন্দরের ডক ইন্সটিটিউটের পরিচালন কমিটির নির্বাচন হয়েছিল। রাজ্য পুলিশ ও সিআইএসএফের ঘেরাটোপে ভোট দেন বন্দরের স্থায়ী শ্রমিক,কর্মচারী ও আধিকারিকরা। বন্দরের নির্বাচনে এবার তৃণমূল,বাম ও কংগ্রেস জোট এবং বিজেপির ত্রিমুখী লড়াই ছিল। মোট ভোটার সংখ্যা ৭৩৭ জন হলেও, এদিন ভোট দেন ৬৯৪ জন। এবার মূলত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছিল তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস জোটের।
অন্যদিকে, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা বিএমএস অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালাচ্ছে বন্দরের নির্বাচনে। বিজেপির কোনও শ্রমিক সংগঠন না থাকায় আরএসএসের এই শ্রমিক সংগঠনই বন্দর সহ শিল্পাঞ্চলে বিজেপির মুখরক্ষা করছে। তিনটি প্যানেলে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৫৮জন। প্রতিটি প্যানেলে ১৮জন পরিচালন কমিটির সদস্য ও সহ সভাপতি মিলিয়ে মোট ১৯ করে প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া একজন নির্দল প্রার্থী ভোটে একা লড়াই করছেন।
শনিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল জোটের সমর্থিত প্রার্থীরা। শেষে বিরোধীদের হারিয়ে ১৯ জন জোট প্রার্থী জয়লাভ করে। চলতি বছরেই হলদিয়া পুরসভা নির্বাচন। পুর নির্বাচনের আগে এই ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রতি দু’বছর অন্তর এই নির্বাচন হয়। গতবার পরিচালন কমিটির সব আসনে তৃণমূল জয়ী হলেও সহ সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিল বামেরাই।
এই বিষয়ে ভারতীয় মজদুর সংঘের রাজ্য সহ সভাপতি বপ্রদীপ বিজলি বলেন, “বিজেপি তৃণমূল ধুয়ে-মুছে সাফ হয়েছে। এর জন্যই আমরা খুশি। ওদের হারাতে অনেক লাড়াই করেছি।”