Mandarmani: রাত বাড়লেই মন্দারমণির হোটেলের ঘরে চলে ‘কারবার’, হাত থাকে ম্যানেজারেরও! পর্দা ফাঁস করল পুলিশ
Mandarmani: ধৃত ১৩ জনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায়। অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া যুবতীরা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের এবং উদ্ধার হওয়া যুবতীদের আজ সোমবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
মন্দারমণি: মন্দারমণিতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হোটেলের অন্দরেই চলত মধুচক্র। বাইরে থেকে যুবতীদের নিয়ে যাওয়া হত পর্যটকদের ঘরে। আর তাতে হাত থাকত হোটেলের ম্যানেজারদেরও। এমনই অভিযোগে তোলপাড় পর্যটনস্থল। দিঘার সৈকতের জনপ্রিয়তা বেশি হলেও মন্দারমণিতেও পর্যটকের আনাগোনা কিছু কম নয়। বিশেষত সপ্তাহান্তে সৈকত ঘেঁষা রিসর্টের সময় কাটাতে যান অনেকেই। সেই মন্দারমণিতেই এবার ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হোটেলে হোটেল অভিযান চালাতে গিয়ে অবাক পুলিশ। গ্রেফতার করা হল ১৩ জনকে।
একটি নয়, পরপর তিনটি হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ। মধুচক্রে হানা দিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি ৬ জন যুবতীকে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার রাতে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ এই অভিযান চালায়। এভাবে হোটেলের ঘর থেকে মধুচক্রে জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেফতার হওয়ায় পর্যটকদের মধ্য়েও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হোটেলগুলির ম্যানেজার, হোটেলকর্মী থেকে শুরু করে এজেন্ট অনেকেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘খদ্দেরে’র তালিকায় পর্যটকরাও রয়েছে। সেই তালিকায় বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজারও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধৃত ১৩ জনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায়। অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া যুবতীরা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের এবং উদ্ধার হওয়া যুবতীদের আজ সোমবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, মন্দারমণির ওই তিনটি হোটেলে গত কয়েকদিন ধরে রমরমিয়ে মধুচক্রের আসর বসেছিল বলে খবর যায় পুলিশের কাছে। অভিযোগ, বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের একাংশের মনোরঞ্জনের জন্য মোটা টাকার বিনিময়ে যুবতীদের এই হোটেলগুলিতে আনা হত। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী অভিযান চালানো হয় বলেই জানান মন্দারমণি কোস্টাল থানার ওসি অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায়।