Mandarmani Murder Case: জামাইবাবুর ভাইয়ের দ্বিতীয় সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিলেন! মন্দারমণিতে অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়
Mandarmani Murder Case: পুলিশের তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, নদিয়া তাহেরপুরের বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল তাঁর জামাইবাবুর ভাইয়ের। প্রায় আট বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর যুবতী জানতে পারেন, অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ওই যুবক।
মন্দারমণি: যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রেমিক ও তাঁর এক বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রেমিক ও তাঁর দুই বন্ধু মিলে যুবতীকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও খোঁজ নেই একজনের। গত ১১ সেপ্টেম্বর মন্দারমণির চাঁদপুর বিচে পাথরের ওপর অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতার পরিচয় সামনে আসার পরই তদন্তে অগ্রগতি শুরু হয়। ক্রমে পুলিশ জানতে পারে, নদিয়ার বাসিন্দা ওই যুবতীর প্রেমিক ছিলেন তাঁরই জামাইবাবুর ভাই। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই ঘটনাটা আরও স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে।
প্রেমিক ছাড়া আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি উত্তর ২৪ পরগনার দমদমের বাসিন্দা। তদন্তের কারণে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ।
পুলিশের তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, নদিয়া তাহেরপুরের বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল তাঁর জামাইবাবুর ভাইয়ের। প্রায় আট বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর যুবতী জানতে পারেন, অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ওই যুবক। এরপর থেকেই নাকি যুবতী বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কোন সম্পর্কে থাকবেন তিনি? বুঝে উঠতে না পেরেই ওই যুবতীকে খুনের পরিকল্পনা করেন বলে দাবি পুলিশের। রামনগরের বাসিন্দা এক যুবক কলকাতায় ক্যাব চালাতেন। তাঁর সঙ্গে মিলে যুবতীকে খুনের পরিকল্পনা করা হয় বলেই অনুমান পুলিশের।
তবে এখনও একাধিক প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে, যার উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ওই যুবতীকে ঠিক কোথায় খুন করা হল? মন্দারমণির কোনও হোটেলেই খুন করা হয় না কি কলকাতায় খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মন্দারমণিতে? সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে উপকূল থানার পুলিশ।