কাঁথি: আজকের নেতা নন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অন্যতম সহযোদ্ধা শিশির অধিকারী। সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে থেকেই রাজনীতি করেছেন দীর্ঘদিন। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবারের সাংসদ তিনি। মনমোহন সিং সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। একসময় ছিলেন এগরার বিধায়ক। কার্যত প্রথম সারিতে থেকে দলের জন্য কাজ করা সেই বর্ষীয়ান নেতার গলায় আজ আক্ষেপ স্পষ্ট। তৃণমূলের বয়স প্রায় ২৬ বছর। এতদিন পর শিশির অধিকারী বলছেন, তৃণমূল করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেও শিশির অধিকারী আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছাড়েননি এখনও। লোকসভা নির্বাচনের আগে কাঁথির সাংসদকে নিয়ে জল্পনা যখন আরও বেড়েছে, তখন তিনি বুঝিয়ে দিলেন শাসক দলের সঙ্গে তিনি আর নেই।
তৃণমূল করার জন্য আক্ষেপ হয়? এই প্রশ্ন শুনেই শিশির বলেন, “আক্ষেপ তো হবেই। ভুল… ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেদিন যদি আর একটু এগিয়ে-পিছিয়ে ভেবে এগোতাম।” শিশিরের কথায়, “যদি আর একটু ভেবে এগোতাম, তাহলে হয়ত অনেকের রাজনীতিতে জন্ম হত না। অনেকে বিদায় নিত। এই জিনিস দেখতে হত না।”
দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে শিশির আরও বলেন, ‘এই বালু সেই বালু! এই পার্থ সেই পার্থ! ভাবতে পারি না।’ তিনি মনে করছেন, এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই রাজ্যে ৪২-এ ৪২ পাবে। ঠিকভাবে নির্বাচন হলে তৃণমূল একটি আসন পাবে না বলেও মনে করেন তিনি। শিশিরের দাবি, তৃণমূল ভোট করানোর জন্য বড় বড় ফাঁদ পেতেছিল, কিন্তু সে সব ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আর কিছু করতে পারবে না।