Nandigram Gunshot: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার তোলার অভিযোগ ছিল, নন্দীগ্রামে বাড়ির সামনেই ভয়ঙ্কর পরিণতি প্রৌঢ়ের
Nandigram Gunshot: দুর্নীতি ইস্যুতে যখন তপ্ত বাংলা, একাধিক মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তির নাম উঠে আসছে, সেখানে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুর: কুয়াশাচ্ছন্ন রাত। আচমকাই রাতের নিঃস্তব্ধতা ভাঙে গুলির শব্দ। স্থানীয় বাসিন্দারাও কিছুটা হতচকিত হয়ে যান। নন্দীগ্রাম এমনিতেই স্পর্শকাতর এলাকা। গ্রামবাসীদের অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষের সূত্রপাত হতে পারে। ভুল ভাঙে কিছুক্ষণ পর। একটা গুলির শব্দের পর আবারও স্তব্ধ সব কিছুই। বেশ কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দের উৎস সন্ধানে বের হলে গ্রামবাসীরা দেখতে পান একটি ফাঁকা এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়িও ওই এলাকায়। নন্দীগ্রামে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। নাম দিব্যেন্দু মণ্ডল ওরফে দেবু (৪২)। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ৪ নম্বর অঞ্চলের ডি জ্যামতলা এলাকায়। তবে সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়, এই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, এই ব্যক্তি চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকার অনেকের কাছ থেকেই মোটা অঙ্কের টাকা তুলেছিলেন। দুর্নীতি ইস্যুতে যখন তপ্ত বাংলা, একাধিক মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তির নাম উঠে আসছে, সেখানে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবু মণ্ডল এলাকায় পরিচিত ব্যক্তি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি কাজে বেরিয়েছিলেন। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। আচমকাই ওই এলাকার বাসিন্দারা রাতে গুলির শব্দ শুনতে পান। তার কিছুক্ষণ পর তাঁরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেবুকে পড়ে থাকতে দেখেন। যতক্ষণে তাঁকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, ততক্ষণে মৃত্যু হয় তাঁর। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দেবু অনেকের কাছ থেকেই চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা তুলেছিলেন। নিহত ব্যক্তির ভাই বলেন, “দাদা আসলে কী কাজ করত, আমরাও জানি না। সাইকেল নিয়ে বাড়িতে ঢুকত আবার বেরিয়ে যেত। পাড়ার লোকের কাছ থেকেই যতটুকু শুনেছি, ওই কারোকে চাকরি পাইয়ে দিত। ওদের একটা অফিসও রয়েছে। সেখানে গিয়ে বসত।” এই ঘটনার পিছনে সেরকম কোনও আক্রোশ থাকতে পারে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই ব্যক্তির দেহ এখন তমলুক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।