Purba Medinipur Death: ‘টাকা তুলতে যাচ্ছি’ বলে বেরিয়েছিলেন, পরে বৃদ্ধের অবস্থা দেখে স্তম্ভিত স্থানীয়রা
Haldia Crime: পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দা কানাই লাল দাস।
হলদিয়া: টানা একদিন নিখোঁজ ছিলেন। তারপর উদ্ধার হল দেহ। কয়েকদিন আগেই এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই খুনের কিনারা হতে না হতেই জেলা থেকে ফের উদ্ধার হল ব্যক্তির দেহ। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দা কানাই লাল দাস। গতকাল টাকা তুলতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর সারাদিন থেকে আর ফেরেননি। স্বাভাবিক ভাবেই পরিবারের সদস্যরা চিন্তা করতে শুরু করেন। কিন্তু সময় বাড়তে থাকায় কানাইবাবুর খোঁজ না পেয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ছ’টা নাগাদ প্রাতঃভ্রমণকারীরা বেরিয়ে দেখেন হলদিয়া থানার অন্তর্গত মাখনবাবুর বাজারে পড়ে রয়েছে এক ব্যক্তির মৃতদেহ। পেট্রোল পাম্পের ঠিক পিছন দিকে হেলিপ্যাড ময়দানে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। তখনই তাঁরা খবর দেয় স্থানীয় টাউনশিপ থানায়। পুলিশে গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে।
এরপর, খবর দেওয়া হয় কানাইলাল বাবুর পরিবারকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেহ শনাক্ত করেন। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বস্তুত, সপ্তাহ খানেক আগে রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার দেহ। প্রাথমিকভাবে ওই মহিলার পরিচয় জানা না গেলেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই মৃত্যুর কিনারা করে ফেলে পুলিশ। পরকীয়ার জেরেই খুন বলে অনুমান পুলিশের। মৃত মহিলা হলদিয়ার ভগবানপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। সাতদিনেই খুনের কিনারা করে ফেলেছে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার ওসি। মৃত মহিলার নাম টুম্পা ঘোষ। তাঁর দেহের ছবি ইতিমধ্যেই শনাক্ত করেছে তাঁর পরিবার। গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন টুম্পা।
মেয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি মোবাইলে দেখে মঙ্গলবার বিকেলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা দীপালি ঘোষ। ভগবানপুর থানার মনিরামচক গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ভগবানপুর থানার কোটলাউড়ি গ্রামে টুম্পার শ্বশুরবাড়ি। ঘটনার পর দেখা যায় সেই বাড়ি তালাবন্ধ।
আরও পড়ুন: Maoist Poster: আর ‘খেলা’ নয়, এবার ‘বিচার’ চেয়ে মাওবাদী পোস্টার পড়ল তালডাংরায়!
আরও পড়ুন: Asansol Suicide: রেললাইনে পড়ে যুবক-যুবতীর ছিন্নভিন্ন দেহ, দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা?