Maoist Poster: আর ‘খেলা’ নয়, এবার ‘বিচার’ চেয়ে মাওবাদী পোস্টার পড়ল তালডাংরায়!
Bankura: জঙ্গলমহলে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, অরণ্যে ঘেরা এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আবারও মাওবাদী কার্যকলাপ বিস্তারের চেষ্টা চলছে।
বাঁকুড়া: একদিন পর ফের বাঁকুড়ায় পড়ল মাওবাদী পোস্টার। এর আগে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় মাওবাদী পোস্টার পড়েছিল। এবার পড়ল তালডাংরাতে। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার সাবড়াকোন থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার রাস্তায় চাঁদাবিলা এলাকার কাছে রাস্তার দুপাশে মোট চারটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলত, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
জঙ্গলমহলে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, অরণ্যে ঘেরা এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আবারও মাওবাদী কার্যকলাপ বিস্তারের চেষ্টা চলছে। তবে গত যে কয়েক দিন যে পোস্টারের বিষয়বস্তু থেকে এদিনের পোস্টারের বিষয়বস্তু অনেকটাই আলাদা। এতদিন ‘তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে খেলতে চেয়ে’ মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারগুলি পড়ত। এবার যদিও তেমন কিছু লেখা ছিল না তাতে। এদিনের উদ্ধার হওয়া পোস্টারগুলিতে লাল কালিতে লেখা ছিল ‘তালডাংরা থানার শিমুলডাঙা গ্রামের কিশোরীর উপর হামলা ও মারধরের ঘটনার দ্রুত বিচার চাই।’পোস্টারে ওই নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত বিচারের জন্য প্রশাসন ও আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন মাঝি পারগানার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে খবর পেতেই পুলিশ পোস্টারগুলি উদ্ধার করেছে। তবে এই পোস্টারগুলি কে বা কারা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর আগে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা ও বারিকুল থানা এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। এই প্রথম জঙ্গলমহলের বাইরে তালডাংরা থানার চাঁদাবিলা এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হওয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাওবাদী প্রভাবিত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১৫ দিনের জন্য সতর্কতা জারি করেছিল রাজ্য পুলিশ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, সেই সতর্কতার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যকে আরও একটি অ্যাডভাইসারি দেওয়া হয়েছে। সেই অ্যাডভাইসারিতে রাজ্যের জঙ্গলমহলের চার জেলায় নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছ।
বস্তুত, বুধবার প্রসাশনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক ইস্যু তোলার পাশাপাশি তিনি মাওবাদীদের বাড়-বাড়ন্ত নিয়েও আলোচনা করেন। যদিও মমতা সরাসরি দায় চাপিয়ে দেন বিজেপির ঘাড়ে। একইসঙ্গে তোপ দাগেন সাংবাদমাধ্যমের একাংশকে। নবান্নের বৈঠক থেকে মমতার সাফ দাবি, ‘একটা-দুটো পোস্টার বিজেপি লাগিয়ে দিয়েছে। আর তা নিয়ে কোনও কোনও টিভি চ্যানেল মাওবাদী-মাওবাদী বলে রাজনীতি করছে। মানুষের মধ্যে ভয় ঢোকাচ্ছে’। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন কর্তাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন মমতা। পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে মানুষের মধ্য থেকে মাও ভয় কাটাতে আরও পদক্ষেপও করতে বলেন। একইসঙ্গে মাওবাদীরা যদি ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।