CM Mamata Banerjee: জঙ্গলমহলে মাও উত্থান ঠেকাতে বিশেষ ‘দাওয়াই’ মমতার, পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে নতুন ভাবনা-চিন্তা

CM Mamata Banerjee: জঙ্গলমহলে ফের মাও অনুপ্রবেশ? নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠেক জেলা কর্তাদের কী পরামর্শ দিলেন মমতা?

CM Mamata Banerjee: জঙ্গলমহলে মাও উত্থান ঠেকাতে বিশেষ 'দাওয়াই' মমতার, পুনর্বাসন প্যাকেজ নিয়ে নতুন ভাবনা-চিন্তা
ছবি- মমতার নতুন 'দাওয়াই'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2022 | 7:30 PM

কলকাতা: জঙ্গলমহলে মাও উত্থান নিয়ে নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিস্তর চাপানউতর চলছে বাংলারা রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের ইস্টার্ন জ়োনাল কাউন্সিলের বৈঠকে মাওবাদীদের(Maoist) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বাংলা। এবার সেকথা উঠে এল শুক্রবার নবান্নে মমতার(CM Mamata Banerjee) প্রশাসনিক বৈঠকে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহে ঝাড়গ্রামের(Jhargram) বিভিন্ন প্রান্তে মাও পোস্টারের ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন তা নিয়ে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের থেকে বিশদে জানতে চান মমতা। তবে জেলা কর্তাদের দাবি, তৃণমূল স্তরে মাও উত্থানের কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি। এমনকী স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেও মাও গতিবিধির কোনও প্রমাণ পাওয়া জানা যায়নি বলেও দাবি করেন তাঁরা।

তা শুনেই মমতা সরাসরি দায় ঢেলে দেন বিজেপির(BJP) ঘাড়ে। একইসঙ্গে তোপ দাগেন সাংবাদমাধ্যমের উপরেও। নবান্নের বৈঠক থেকে মমতার সাফ দাবি, ‘একটা-দুটো পোস্টার বিজেপি লাগিয়ে দিয়েছে। আর তা নিয়ে কোনও কোনও টিভি চ্যানেল মাওবাদী-মাওবাদী বলে রাজনীতি করছে। মানুষের মধ্যে ভয় ঢোকাচ্ছে’। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন কর্তাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন মমতা। পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে মানুষের মধ্য থেকে মাও ভয় কাটাতে আরও পদক্ষেপও করতে বলেন। একইসঙ্গে কোনও মাওবাদী যদি ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। সীমান্তবর্তী এলাকায় মাও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আপাতত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান মমতা। বেলপাহাড়ি বর্ডারে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তাও খোঁজখবর নেন তিনি। এমনকী মমতা এদিনের বৈঠকে এও দাবি করেন, বেলপাহাড়ি সীমান্ত থেকে ঢোকা কিছু মাওবাদীই নতুন করে সমস্যা তৈরি করছে। তবে মমতা দাবি করলেও তা মানতে এদিন ‘রাজি হননি’ জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাতে খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

তাঁদের দাবি, গোয়েন্দা ইনপুট পাওয়ার পরেই বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বেলপাড়ি সীমান্তে। পাশাপাশি নাকা চেকিংয়ের মাত্রাও আগের থেকে অনেক বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাও অনুপ্রবেশের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এমনকী ঝাড়খণ্ড থেকে কেউ ঢুকেছে বলেও তাঁরা জানতে পারেননি। তা শুনে মমতা বলেন, “আমার কাছে তো চার জনের খবর আছে। আমি ডিজিকে পাঠিয়েছিলাম। গ্রেফতার করেছে কয়েকজনকে”। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি প্রাক্তন মাওবাদীদের চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিনের বৈঠকে সেই পরিসংখ্যান ফের একবার তুলে ধরেন মমতা। তবে চাকরির আবেদনকারীদের কেউ বাদ পড়ে গেলে তাদের বিষয়গুলি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার কথাও বলেন মমতা। দ্রুত তাদের বায়োডাটা ডিজির কাছে পাঠিয়ে দিতে বলেন। মমতা আরও বলেন, “আমার কাছে খবর আছে এরাই কিন্তু বাইরে থেকে লোক ডেকে আনছে। সুতরাং, আমার তথ্য়ের সঙ্গে তোমাদের তথ্যের ফারাক রয়েছে। আমি ঝাড়গ্রাম যাব। খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেব।” প্রসঙ্গত মাও হানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা রাজ্য সরকারের তরফে পেয়েছেন পুর্নবাসন প্যাকেজ। কিন্তু তাঁদের আত্মীয়-পরিজনদের অনেকে চাকরি-পুর্নবাসন প্যাকেজের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু, চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভে তাঁদের মধ্যে অনেকে মাওবাদীদের নামে ভুয়ো পোস্টার দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে, এমনটা আগে অনুমান করেছিল জেলা পুলিশ। এবার মমতার মন্তব্য সেই দাবিকেই নতুন করে মানত্য দিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় বিদ্যুতের খরচ বাড়ল অনেকটা, জেনে নিন ইউনিট প্রতি কত দাম?