Potato Crisis: ‘কলকাতার মানুষকে কম দামে আলু খাওয়াতে চাইছেন’, হিমঘরের ‘স্টক ক্লিয়ার’ না হতে মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ আলু ব্যবসায়ীদের
Potato Crisis: রোজই জেলা থেকে আসছে রিপোর্ট। হিমঘরগুলিতে এখনও মজুত লক্ষ লক্ষ প্যাকেট পুরনো আলু। ‘স্টক ক্লিয়ার’ হতে না হতেই ইতিমধ্যেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে নতুন আলুতে। আলু ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত হিমঘরগুলিতে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ প্যাকেটের মত আলু মজুত রয়েছে।
গড়বেতা: আলু নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই। আলুর সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কয়েকদিন আগে কড়া বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জায়গা ধরে ধরে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন গড়বেতার ‘অসাধু’ চক্র নিয়েও। স্পষ্টতই বলেছিলেন, ‘গড়বেতার একটি চক্র পুলিশের সঙ্গে মিশে বাইরে আলু পাচার করছে।’ তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে চাপানউতোরের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন গড়বেতার আলু ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক বরুন পণ্ডিতের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে যারা বোঝাচ্ছেন তাঁরা আসলেই ভুল বোঝাচ্ছেন, না হলে তিনি জানেন না। পাল্টা চাপ দিতে নতুন আলু না কেন আর হুঁশিয়ারি সংগঠনের।
প্রসঙ্গত, রোজই জেলা থেকে আসছে রিপোর্ট। হিমঘরগুলিতে এখনও মজুত লক্ষ লক্ষ প্যাকেট পুরনো আলু। ‘স্টক ক্লিয়ার’ হতে না হতেই ইতিমধ্যেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে নতুন আলুতে। আলু ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত হিমঘরগুলিতে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ প্যাকেটের মত আলু মজুত রয়েছে। তাতেই চিন্তায় আলু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, ভিন রাজ্য আলু পাঠানো বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, ফের রফতানি শুরু না হলে সমস্যা সমাধানের কোনও পথই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে আবার গড়বেতায় আলু ব্য়বসায়ীদের মধ্যে নতুন করে রোষের সঞ্চার হয়েছে।
গড়বেতার আলু ব্যবসায়ী বরুণ পণ্ডিত বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলছেন ভুল বলছেন, না জেনে বলছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে সাধারণত যে ধরনের আলু চাষ হয় তা অতি নিম্নমানের এই আলু পশ্চিমবঙ্গের লোক ১০ শতাংশ খায় বাকি ৯০ শতাংশ বাইরে রফতানি হয়। বিহার, ওড়িশা বিভিন্ন রাজ্যে চলে যায়। সরকার চাইছে কলকাতার লোককে কম দামে আলু দিতে। আমরা ব্যবসায়ী হিসাবে বলছি সরকার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করুন। যখন খুশি নিয়ম প্রবর্তন করলে আমরা ব্যবসায়ীরা মাঠে মারা যাব।”
এই খবরটিও পড়ুন
প্রশ্ন তুলছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও। তাঁর দাবি, এলাকার জনপ্রতিনিধিরা কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে সঠিক খবর দিচ্ছেন না। এরকম চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা আত্মহত্যার পথে হাঁটতে বাধ্য হবে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।