Bangladesh Unrest: ‘ভারতের দু’দিকে পাকিস্তান হয়ে যাবে’, কোন কারণে এমন আশঙ্কা?

Bangladesh Unrest: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইমনকল্যাণ লাহিড়িকেও। তাঁর সাফ কথা, “একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয়ের বাইরে তিনি এখন বাংলাদেশি। বাংলাদেশে অশান্তি চলছে। এই মুহূর্তে আবেদন-নিবেদন ওদিকের সরকারের সঙ্গে এদিকের সরকারের হবে।”

Bangladesh Unrest: ‘ভারতের দু’দিকে পাকিস্তান হয়ে যাবে’, কোন কারণে এমন আশঙ্কা?
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Dec 12, 2024 | 7:33 PM

কলকাতা: হিন্দুদের রক্ষা করা ভারত সরকারের দায়িত্ব। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়, বাংলাদেশ ইস্যু দেখতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই। বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা সিএএ খোঁচা দিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরে নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় আক্রমণের ধার বাড়িয়ে বলছেন, “মমতার মুখে হিন্দু শব্দ শুনে দু’হাত ভরে হাততালি দিতে চাই। কিন্তু, আপনি বলেন তাহলে সিএএ জরুরি ছিল। ওপারের হিন্দুদের এপারে নিয়ে চলে আসার কথা বলছেন। আনতে পারা যাচ্ছে না তো আপনার জন্য।” প্রসঙ্গত, দিন যত যাচ্ছে ততই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের লাগাতার অবনমন দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকায় দিয়ে সে দেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছেন ভারতের বিদেশ সচিব। অবস্থা দেখে উদ্বেগ বেড়েছে দুই আন্তর্জাতিক মহলেও। উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও। 

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইমনকল্যাণ লাহিড়িকেও। তাঁর সাফ কথা, “একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয়ের বাইরে তিনি এখন বাংলাদেশি। বাংলাদেশে অশান্তি চলছে। এই মুহূর্তে আবেদন-নিবেদন ওদিকের সরকারের সঙ্গে এদিকের সরকারের হবে। ওদিকে কিন্তু সংখ্যালঘু জনসংখ্যা প্রচুর। ভারত সরকার চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। ওখানকার প্রধানমন্ত্রীকে এখানে আনা হয়েছে।” বাংলাদেশের এই অশান্তির পিছনে পাকিস্তান-চিনের মতো বহিরাগত শক্তির হাত আছে বলে মনে করছেন তিনি। তাহলে সত্যিই কী ভারতকে বিপাকে ফেলতে নতুন করে কোনও ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে? 

ইমনকল্যাণ লাহিড়ির মতে, “পাকিস্তান-চিনের মতো বহিরাগত শক্তির মদতে যুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে ওদিকে। আমরা যাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করি সেটা অনেকে চাইছে। ওরা চায় যুদ্ধ তিন-চার বছর চলুক। আর ভারতের দু’দিকে পাকিস্তান হয়ে যাবে।” যদিও তার দাবি এই প্ররোচনায় পা দেওয়ার কোনও মানেই হয় না। তিনি বলছেন, “কেন আমরা এই প্ররোচনায় পা দেব? ভারত বহু ধর্মীয়, বহু জাতি বহু মানুষের দেশ। আমরা আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে বেঁচে আছি এতগুলি বছর। এখানে তেমন কোনও মেজর পলিটিক্যাল ক্রাইসিস হয়নি। যেটা হয়েছে তা ভারতের মধ্যেই মিটেছে।”