Bangladesh Crisis: বাইশ গজে নামার আগে ক্ষমা চাইবে বাংলাদেশ, এবার ক্রিকেট-কূটনীতির মুখে ইউনূসের দেশ?
বাংলাদেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই সেই দেশ উত্তাল। নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘুদের উপরে অবর্ণনীয় নির্যাতনের খবর আসছে। গ্রেফতার হয়েছেন ইস্কনের সঙ্গে যুক্ত বলে পরিচিত চিম্ময় কৃষ্ণ দাস।
কলকাতা: ময়দান ছাড়িয়ে এ বার বাইশ গজেও বাংলাদেশের সমস্যার আঁচ পড়ল। পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। এই ইস্যুতে কয়েকদিন আগেই ভারতের প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে প্রকাশ্যে নিন্দা করেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। বাংলাদেশে শান্তি ফেরানোর দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। কয়েকদিন আগে জানা গিয়েছিল, কলকাতার অপর এক প্রধান মহমেডান স্পোর্টিংও বাংলাদেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের পাশে থাকতে চাইছে। এও জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডেপুটেশন জমা দেবেন মহমেডান কর্তারা। এই আবহে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার, বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা দাবি জানালেন, ক্ষমা না চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে যেন ভারতে ঢুকতে না দেওয়া হয়।
ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা বিসিসিআইয়ের কাছে এই ইস্যুতে আবেদনও জানিয়েছেন। অশোক দিন্দার আবেদন ঠিক এই রকম যে, বাংলাদেশ ভারতে কোনও টুর্নামেন্টে খেলতে এলে আগে সে দেশের জাতীয় ক্রিকেট টিমকে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই মিলবে খেলার অনুমতি।
তবে, এমন আবেদন কেন জানাচ্ছেন দেশের হয়ে ১৩টি ওডিআই ও ৯টি টি-২০ ম্যাচ খেলা অশোক দিন্দা? তাঁর যুক্তি, বাংলাদেশ টিম ভারতে খেলতে এসে যদি ক্ষমা না চায়, তা হলে স্টেডিয়ামে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এক ধাপ এগিয়ে হুঁশিয়ারির সুরে দিন্দা বলেন, ‘আমরা নিজে জনতার সঙ্গে মিশে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমকে ঢুকতে দেব না।’
এই খবরটিও পড়ুন
কিন্তু, কেন এতটা চটেছেন অশোক দিন্দা? প্রাক্তন ক্রিকেটরের বক্তব্য, বাংলাদেশে যেভাবে ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে তাতে তিনি প্রবলভাবে ব্যথিত। দেশপ্রেম ও জাতীয় পতাকার প্রতি ভাবাবেগ থকেই তিনি এই দাবি জানিয়েছেন। দিন্দার কথায়, ‘বিসিসিআয়ের কাছে আমার অনুরোধ, সেখান থেকে যেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে একটা মেইল করা হয়, ভারতের জাতীয় পতাকার সঙ্গে যে ভাবে বাংলাদেশের মানুষজন যেভাবে অসম্মান করছেন, বঞ্চনা করছেন, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আগামী দিনে যখনই বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচ হবে, তার আগে অবশ্যই প্রেস কনফারেন্স করে এবং ইমেইলের মাধ্যম দিয়ে যেন জানানো হয়, বাংলাদেশের মানুষ যে ভাবে ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেছেন, তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে, সাধারণ মানুষ বিষয়টা মনে রাখবে। প্রতিক্রিয়া আলাদা হবে। স্টেডিয়ামে এর রেশ ছড়াবে। ভারতের পতাকাতে আমরা কাঁধে, মাথায়, বুকে রাখি সব সময়। ভারত মাতার অপমান যে করবে, তা বাংলাদেশ কেন যে কোনও দেশকেই মানা যাবে না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই সেই দেশ উত্তাল। নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘুদের উপরে অবর্ণনীয় নির্যাতনের খবর আসছে। গ্রেফতার হয়েছেন ইস্কনের সঙ্গে যুক্ত বলে পরিচিত চিম্ময় কৃষ্ণ দাস। বাংলাদেশের একাংশে তীব্র ভারত-বিদ্বেষের আবহে ভারতীয় তেরঙ্গাকে পদদলিত করার ঘটনাও সামনে এসেছে। আর এতেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। যদিও ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ঢাকায় মহঃ ইউনূসের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে।