Purba Bardhaman: পাসপোর্টের জন্য জাল শংসাপত্র, গ্রেফতার ২
Bardhaman: এরপর অভিযোগ পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে রিঙ্কাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, জাল শংসাপত্রটি তাঁকে স্বরূপ জোগাড় করে দিয়েছে। পরের দিন বর্ধমান আদালতে পেশ করে রিঙ্কাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু, গ্রেফতারের আগে তাঁকে নোটিস না দেওয়ায় এবং কী কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারে বাধ্য হল তার উল্লেখ না থাকায় রিঙ্কার জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
বর্ধমান: পাসপোর্টের জন্য জাল শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় হুগলির সিঙ্গুর থেকে বর্ধমান জেলা পুলিশ গ্রেফতার করল দু’জনকে। ধৃতদের নাম গণেশ চক্রবর্তী এবং অনির্বাণ সামন্ত। এদের মধ্যে গণেশের বাড়ি সিঙ্গুরে এবং অনির্বাণের বাড়ি সিঙ্গুরের গণ্ডারপুকুর মাঘপাড়া এলাকায়। ধৃতদের পুলিশী হেফাজত চেয়ে শনিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য কয়েকমাস আগে আবেদন করেন বর্ধমান শহরের নতুনপল্লির বাসিন্দা রিঙ্কা দাস। পাসপোর্টের আবেদনে তিনি জন্ম শংসাপত্র জমা দেন। সেটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আবেদনটি ভেরিফিকেশনের জন্য বর্ধমান জেলা গোয়েন্দা দফতরে পাঠানো হয়। গোয়েন্দা দফতর থেকে রিঙ্কাকে অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি আসল নথিপত্র নিয়ে গোয়েন্দা দফতরে দেখা করেন। তাঁর জন্ম শংসাপত্রটি সঠিক কি না তা জানতে গোয়েন্দা দফতরের তরফে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেটি জাল বলে হাসপাতালের সুপার জানিয়ে দেন। এরপরই গোয়েন্দা দফতরের তরফে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এরপর অভিযোগ পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে রিঙ্কাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, জাল শংসাপত্রটি তাঁকে স্বরূপ জোগাড় করে দিয়েছে। পরের দিন বর্ধমান আদালতে পেশ করে রিঙ্কাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু, গ্রেফতারের আগে তাঁকে নোটিস না দেওয়ায় এবং কী কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারে বাধ্য হল তার উল্লেখ না থাকায় রিঙ্কার জামিন মঞ্জুর করে আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ স্বরূপ রায় ওরফে রামু নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর খেলার মাঠ এলাকায় তাঁর বাড়ি। তাকে জেরা করেই পুলিশ এই দু’জনের হদিশ পায়। এরপরই পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সিঙ্গুর থেকে আরও দুজনকে গ্রেফতার করল।