Bardhaman: পিকনিক করতে গিয়ে দামোদরের গর্ভ থেকে বেরলেন সূর্যদেব!

Purba Bardhaman: জানা গিয়েছে, পিকনিক করতে গিয়ে দামোদর তীরে এই মূর্তি দেখতে পান কয়েকজন। একটি সূত্রে সেই ছবি চলে আসে মিউজিয়ামের আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরার হাতে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জানান। রেজিস্ট্রার আবার পুলিশকে খবর দেন।

Bardhaman: পিকনিক করতে গিয়ে দামোদরের গর্ভ থেকে বেরলেন সূর্যদেব!
দামোদরের গর্ভ থেকে বেরলেন সূর্যদেবImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2025 | 6:54 PM

রায়না: পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। খাওয়া-দাওয়া, হই-হট্টোগোল চলছিল। সেই সময় হঠাৎ দামোদরের পাড়ে দেখা গেল কিছু। দৌড়ে যান সেখানে। বালি থেকে উদ্ধার একটি মূর্তি। পরে জানা গেল, ওই মূর্তিটি বহুপ্রাচীণ। সেটি সূর্যের মূর্তি। রবিবার দুপুরের পর মূর্তিটিকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে নিয়ে আসা হয়েছে। আর তারপরই সকলে করজোড়ে প্রণাম করলেন তাকে। ইতিহাসের এক অন্য জগতে পৌঁছলেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, পিকনিক করতে গিয়ে দামোদর তীরে এই মূর্তি দেখতে পান কয়েকজন। একটি সূত্রে সেই ছবি চলে আসে মিউজিয়ামের আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরার হাতে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জানান। রেজিস্ট্রার আবার পুলিশকে খবর দেন।

শ্যামসুন্দর বেরা বলেন, “এটি পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ দামোদর এলাকার হরিপুর গ্রামে। যেটা বর্তমানে নতু পঞ্চায়েত এলাকায় পড়ে। এটিকে দামোদর নদের গর্ভ থেকে পাওয়া গিয়েছে। পাল-সেন যুগের মূর্তি। দশম- একাদশ শতকের মূর্তি। কম করে এগারোশো বছরের পুরনো এটি। এটি ব্যাসাল্ট পাথর দিয়ে সেই সময় তৈরি করা হয়েছিল।” শ্যাম সুন্দরবাবু এও বলেন, মূর্তিটির উচ্চতা তিনফুট। প্রস্থে দেড় ফুট। মিউজিয়ামে আরও বেশ কটি সূর্যমূর্তি থাকলেও এটি বেশ ব্যতিক্রমী।

তাঁর কথায়, এটিতে স্টেনের উপর কীর্তিমুখ এবং উড়ন্ত বিদ্যাধর আছেন। এই মূর্তিটির মুখমণ্ডল ভাঙা। এটিতে একচক্র এবং সপ্ত-অশ্ববাহী রথ আছে। অনুমান করা হচ্ছে,বালি তোলার সময় মুখমণ্ডল ভেঙে গিয়েছে।