Panskura: ‘মা আমি চিপস চুরি করিনি…’, নাম-রোল-ক্লাস লেখা খাতার পাতায় মাকে লেখা ছেলের শেষ চিঠি
Panskura: ভরা বাজারে তাকে কান ধরে ওঠবস করায়, মারধরও করেন বলে অভিযোগ। কৃষ্ণেন্দুর বাবা মায়ের আরও অভিযোগ, চিপসের দামও শুভঙ্করকে দেন তারা। তারপরও হেনস্থা চলে। প্রাথমিকভাবে শুনে নাবালিকের মা-ও ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষ্ণেন্দুকে শাসন করেন। বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

পূর্ব মেদিনীপুর: মায়ের উদ্দেশে লেখা তার শেষ চিঠি। চিঠিতে লেখা নিজের নাম, ক্লাস, রোল নম্বর! আর তার বয়ান, ‘মা আমি বলে যাচ্ছি যে, আমি চিপসের প্যাকেটটি চুরি করিনি। কুড়িয়ে পেয়েছিলাম…’ চিপস প্যাকেট চুরির অপবাদেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া! মা জ্ঞান হারাচ্ছেন ক্ষণে ক্ষণে! বলছেন, ‘ও ফিরবে ঠিকই…’ পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড় বাজারে মর্মান্তিক ঘটনা।
সপ্তম শ্রেনির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু রবিবার দাস বাজারে চিপস কিনতে বেরিয়েছিল। এলাকারই সিভিক ভলান্টিয়র শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকান রয়েছে। সেই দোকানেই গিয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। তার পরিবার, কৃষ্ণেন্দুর বারবার ডেকেছিল, কিন্তু দোকানদারের সাড়া পায়নি। দোকানের বাইরে চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে কৃষ্ণেন্দু সেই প্যাকেট কুড়িয়ে নেয়। বাড়ি ফেরার সময় সেই দোকানের মালিক শুভঙ্কর মোটর বাইক নিয়ে ধাওয়া করে ওই নাবালকের পেছনে। কৃষ্ণেন্দুকে পাকড়াও করে চুরির অপবাদ দেয়।
ভরা বাজারে তাকে কান ধরে ওঠবস করায়, মারধরও করেন বলে অভিযোগ। কৃষ্ণেন্দুর বাবা মায়ের আরও অভিযোগ, চিপসের দামও শুভঙ্করকে দেন তারা। তারপরও হেনস্থা চলে। প্রাথমিকভাবে শুনে নাবালিকের মা-ও ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষ্ণেন্দুকে শাসন করেন। বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
চোর অপবাদ না সহ্য করতে পেরে খাতার পাতায় একটি চিঠি লিখে বাড়িতে থাকা কীটনাশক খেয়ে নেয় ওই নাবালক। তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় কৃষ্ণেন্দুর। এলাকার পরিস্থিতি ভীষণ তপ্ত। এলাকা ছাড়া অভিযুক্ত।





