Sukanta Majumdar: ‘পুলিশ আর গুণ্ডা সরিয়ে নিলে তৃণমূল পার্টি অফিস খোলার লোক পাবে না’, নিশানা সুকান্ত মজুমদারের
BJP Worker Murder: এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তোপের মুখে কখনও পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে, কখনও নিশানা ছিল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুর: ভগবানপুরের বিজেপি (BJP) কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকার ও পুলিশের পক্ষপাতকেই দুষলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার চণ্ডীপুর বিধানসভার ভগবানপুরে নিহত বিজেপি নেতা চন্দন মাইতি (শম্ভু)র স্মরণ সভা থেকে একযোগে পুলিশ ও রাজ্যকে নিশানা করেন সুকান্ত। বলেন, ‘একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরও এখন যদি পুলিশ ও গুণ্ডাদের সরিয়ে নেওয়া হয় ওরা পার্টি অফিস খোলার লোক পাবে না।’
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তোপের মুখে কখনও পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে, কখনও নিশানা ছিল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, নীচু তলার পুলিশ কর্মীরা নিরপেক্ষ থাকতে চান। কিন্তু তাঁদের শীর্ষ কর্তারা জোর করে অন্য পথে তাঁদের চলতে বাধ্য করেন। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “বিজেপি কর্মী চন্দন মাইতির খুনের ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্তদের আড়াল করতে চাইছে। মূল অভিযুক্তরা গাঁজার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ সেখান থেকে লাভবান হয়। সে কারণে আমরা সিবিআই, রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে চিঠি লিখব। এই মামলা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় পড়ে। এই মামলার তদন্ত সিবিআই করুক আমরা চাইব। নিহতের পরিবারকেও বলেছি, সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে।”
সুকান্ত বলেন, “যে সমস্ত অফিসাররা তৃণমূলের দালালি করছেন তাঁরা হুঁশিয়ার। সময় কিন্তু সব সময় সমান যায় না। নিরপেক্ষ না হলে বিজেপির সময় আসলে কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। এ রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের মেরুদণ্ড সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। দিদিমণি ভাবছেন এই পুলিশ প্রশাসন ধরে তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। কতদিন থাকবেন ক্ষমতায়? তৃণমূল এত আসনে জেতার পরও যদি পুলিশ আর গুণ্ডা সরিয়ে দেওয়া যায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস খোলার লোক পাওয়া যাবে না। পুরসভা ভোট আসতে দিন কাটমানি নিয়ে লাগবে। আমাদের শম্ভুদাকে যারা মেরেছে, তখন নিজেদের মধ্যে মারামারি লাগবে।”
পুলিশ কর্তাদের উদ্দেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পরামর্শ, “নিজের বিবেককে জাগ্রত করুন। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বলব, যাঁরা দিদিমণিকে খুশি করে, তাঁর ভাইপোকে খুশি করে প্রমোশন নিতে চান। প্রমোশন নিয়ে কেউ এসপি হবেন, কেউ আরও বড় হবেন। সবার টার্গেট আছে কত কামাব। তাঁরা এই তৃণমূলের পদলেহন করেন এবং নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের বাধ্য করেন। এসব বন্ধ করুন যত তাড়াতাড়ি পারেন।”
ভাইফোঁটার দিন খুন হন চন্দন মাইতি। জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের যুব নেতা ছিলেন। ওইদিন সকালে দেড়িয়া দিঘি এলাকার নান্টু প্রধান কলেজের কাছে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। বিষয়টি নজরে আসতেই এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশে। ভগবানপুর থানার পুলিশ পৌঁছে যায় ওই এলাকায়। দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর।
আরও পড়ুন: ‘সীমান্ত ওদের টাকা কামানোর জায়গা, তাই বিএসএফ-সুরক্ষা চায় না’, বিস্ফোরক সাংসদ রাজু বিস্তা