Kasai River: ঝুপ করে বসে পড়ল রাস্তা, হুড়মুড়িয়ে নদীগর্ভে পড়ল সারি সারি দোকান…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 17, 2022 | 4:37 PM

Moyna: কাঁসাই নদীর পাড়ে প্রায় ১০০ ফুট ফাটল দেখা যায় এদিন। এত বড় ধসের পরে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

Kasai River: ঝুপ করে বসে পড়ল রাস্তা, হুড়মুড়িয়ে নদীগর্ভে পড়ল সারি সারি দোকান...
এভাবেই ধস নেমেছে তমলুকের ময়নায়। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: সাত সকালে ভয়াবহ ধস। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় নদীগর্ভে বসে গেল দোকান, রাস্তা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা-১০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ময়নায় কাঁসাই নদীর পাড়ে গ্রামীণ রাস্তায় এই ধস নামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার তমলুক ব্লকে ময়না পাঁশকুড়া প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি হয়েছিল রাস্তা। সেই রাস্তায় সোমবার বড়সড় ধস নামে। তমলুক ব্লকের শ্রীরামপুর দু’ নম্বর অঞ্চলের দোবাঁধি বাজারের ঘটনা। চলন্ত বাজার হঠাৎই বসে যায় প্রায় চার পাঁচ মিটার গভীরে। এর জেরে এলাকার ২৫ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কাঁসাই নদীর পাড়ে প্রায় ১০০ ফুট ফাটল দেখা যায় এদিন। এত বড় ধসের পরে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আচমকা এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় সেচ দফতরে। সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিরা আসেন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন তমলুকের বিডিয়ো। কী কারণে এমন বড়সড় ভাঙন তা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। একইসঙ্গে তাদের ভাবনা, ফের যদি এমন ঘটনা ঘটে তা হলে বড় বিপদ এড়ানো কি সম্ভব হবে? তমলুকের বিডিয়ো জানান, “ক্ষতি কী হয়েছে তা তো দেখাই যাচ্ছে। কিন্তু উদ্বেগের এর থেকে বেশি ক্ষতি হলে কী হবে! কারণ এখানে প্রচুর দোকানপাট রয়েছে। অনেক মানুষের রুটিরুজি এখান থেকে হয়। সেই সমাধান যতটা করা যায় সেটাই আমরা দেখছি।”

স্থানীয় বাসিন্দা সমরেশ রায় বলেন, “সকাল ৯টা সাড়ে ৯টা তখন। হঠাৎ এই ঘটনা। রবিবার থেকেই অল্প অল্প ফাটল দেখা যাচ্ছিল রাস্তায়। ধীরে ধীরে আজ বসে গিয়ে একেবারে নদীতে চলে গিয়েছে। প্রায় ৩০টা মতো দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” দোবাঁধি বাজার এলাকার বাসিন্দা শীতল সাউয়ের কথায়, “কিছুদিন আগে এখানে নদী কাটা হয়েছিল। সেই কারণেই আজ আমাদের এই দুর্ভোগ হল। একটা বাজার আছে এখানে। মাটিটা এমনভাবে কেটেছে রাস্তা নিয়ে পুরো মাটি বসে গিয়েছে। আসতে আসতে বসে যাওয়ায় মালপত্র ততক্ষণে অনেকেই বের করে নিয়েছে। পুরোপুরি বসে যাওয়ার পর কিছু মালপত্র সরানো হয়েছে।”

সেচ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র অভিজিৎ দাস বলেন, “তমলুক ব্লকের দোবাঁধি ঘাটে মোটামুটি ৮০ মিটার মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গভীরতা প্রায় ৪ মিটার। আপাতত সমীক্ষা চলছে। কাজ শুরু হলে তার পর বলা যাবে কতদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব। কাজ এদিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে।”

আরও পড়ুন: Sitalkuchi firing: শীতলকুচিকাণ্ডে মামলাকারীর বক্তব্যের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন আদালতে

আরও পড়ুন: Clash with Cops: ‘ধর্ষকদের গ্রেফতারি চাই’, দাবি উঠতেই খণ্ডযুদ্ধ পুলিশ-জনতার

আরও পড়ুন: Gold Biscuit: রাস্তার ধারে পড়ে সোনার বিস্কুট, খবর ছড়াতেই হই হই কাণ্ড

Next Article