কলকাতা: আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না সেখ সুফিয়ানকে (Sheikh Sufiyan)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রক্ষাকবচ পেলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার একুশের বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার (Post Poll Violence Case) শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, এখনই শেখ সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই (CBI)। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৩১ জানুয়ারি। ততদিন পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মমতার নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এদিন বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ সুফিয়ানের দায়ের করা বিশেষ লিভ পিটিশনের শুনানি করে। কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সুফিয়ান।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ করে বিরোধীরায যার মধ্যে অন্যতম ছিল নন্দীগ্রাম। একুশের ভোটের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তাঁরই একসময়ের সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্বল্প ভোটের ব্যবধানে জিত হয় বিজেপি প্রার্থীর। এদিকে তার পর নন্দীগ্রামে একাধিক এলাকায় বিজেপি-র উপর হামলার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন দেবব্রত মাইতি নামে এক বিজেপি কর্মী।
বিজেপি অভিযোগ করে ভোটপরবর্তী হিংসায় ৩ মে আক্রান্ত হন দেবব্রত মাইতি। পরে ১৩ মে তাঁর মৃত্যু হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এর পর হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার যায় সিবিআই-র হাতে। অতঃপর সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল দেবব্রত মাইতির বাড়িতেও যান। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে একাধিক তথ্য নেন। রেকর্ড করা হয় তাঁদের বয়ানও।
এদিকে এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের তালিকায় নাম ওঠে সেখ সুফিয়ানের। তৃণমূল নেতার শাস্তির দাবি করে একাধিক সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিতে শানা যায় বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অদিকারীকে। পাল্টা সুফিয়ান বিজেপি এবং নিহতের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই আঙুল তোলেন তিনি।