AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tamluk: তমলুকে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, FIR দায়েরের নির্দেশ আদালতের

Tamluk: গত বছর ২২ অক্টোবর অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কথা বলার অছিলায় তাঁর ভাড়া বাড়িতে যান। ভাড়া বাড়িতেই তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। কিন্তু থানায় অভিযোগ না নেওয়ায় তিনি কোর্টের দ্বারস্থ হন।

Tamluk: তমলুকে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, FIR দায়েরের নির্দেশ আদালতের
অভিযোগকারিণী মহিলাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 28, 2025 | 2:02 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুকের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। কোর্টের নির্দেশে এফ আই আর দায়ের করল তমলুক থানায়। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা নির্যাতিতা এক মহিলা তমলুকের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তমলুক থানায়। কিন্তু তমলুক থানা অভিযোগ না নেওয়ার অভিযোগ। পরে তিনি কোর্টের দ্বারস্থ হন। কোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেয় এফ আই আর-এর প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। সেই মতো গত ২৫ তারিখ তমলুক থানায় এফ আই আর দায়ের হয়।

নির্যাতিতার অভিযোগ, কোনও একটি ক্ষেত্রে তার প্রতি অন্যায় হয়েছিল পূর্বে। সেই কেস আদালতের বিচারাধীন। তিনি বর্তমানে তমলুকে তাঁর ভাড়া বাড়িতে থাকেন ।সেই কেস সংক্রান্ত ব্যাপারে তমলুকের বিধায়ক কার্যালয়ে তিনি গেলে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের তমলুক সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে পরিচয় হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাঁকে সুবিচার ও কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

গত বছর ২২ অক্টোবর অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কথা বলার অছিলায় তাঁর ভাড়া বাড়িতে যান। ভাড়া বাড়িতেই তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। কিন্তু থানায় অভিযোগ না নেওয়ায় তিনি কোর্টের দ্বারস্থ হন।

আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয় এফ আই আর  করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। সেই মতো গত ২৫ তারিখ তমলুক থানায় এফ আই আর দায়ের হয়। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা  দাবি করেছেন, গত কয়েক মাস আগে বিধায়ক কার্যালয়ে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ওই মহিলার চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি চাকরির জন্য বলেছিলেন ওই তৃণমূল নেতাকে। তৃণমূল নেতা এও দাবি করেন, ওই মহিলা আগে একই অভিযোগে এক বিজেপি নেতাকে জেল খাটিয়েছিলেন। এটাই মহিলার ব্যবসা। তিনি এভাবেই মানুষকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করেন।

প্রদেশ তৃণমূল সহ সভাপতি পার্থ সারথি মাইতির বক্তব্য, “ওই মহিলাকে আমরা আগে থেকেই চিনি। উনি বিজেপি নেতাকে ফাঁসিয়েছেন, যখন তাঁদের ফাঁসানো শেষ হয়ে গেল, তখন টার্গেট করলেন তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। পুরো ঘটনা পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।”

অন্যদিকে জেলা বিজেপি নেতা সুকান্ত চৌধুরীর বক্তব্য, পুলিশি তদন্ত সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।