TMC-BJP: শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে হাতে হাত মেলালো তৃণমূল-বিজেপি

Nandigram: অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভেকুটিয়া অঞ্চল সভাপতি কাঞ্চন দাস, স্থানীয় নেতা অরূপ গোল প্রমুখ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আসন বোঝাপড়া করেছেন। এবছর নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ৮টি সমবায় সমিতির ভোট হয়েছে।

TMC-BJP: শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে হাতে হাত মেলালো তৃণমূল-বিজেপি
নন্দীগ্রামে জোট তৃণমূল-বিজেপিরImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2024 | 9:18 PM

নন্দীগ্রাম:  গত চার বছর ধরে রাজ্য রাজনীতির সংঘাতের ‘এপিসেন্টার’ হল নন্দীগ্রাম। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এই নন্দীগ্রামে তৃণমূল-বিজেপির দ্বৈরথ দেখেছে গোটা দেশ। রাজনৈতিক শত্রুতায় এখনও এখানে রক্ত ঝরছে। চলছে হানাহানি। বিনা লড়াইয়ে কেউ মাটি ছাড়তে নারাজ। অথচ, সেই নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে নিচুতলায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে আসন বোঝাপড়ার এক উল্টো ছবি ধরা পড়েছে। দুই দল আসন ভাগাভাগি করায় আর ভোট হচ্ছে না। এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে দীনবন্ধুপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে।

আগামী ৫ জানুয়ারি ওই সমবায় সমিতির ডেলিগেট (প্রতিনিধি) নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দু’দল আসন ভাগাভাগি করে নেওয়ায় ভোট হচ্ছে না। ৫০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩২ আসন আর এবং বিজেপি ১৮ টিতে মনোনয়ন জমা করেছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়া এবং মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দীনবন্ধুপুর সমবায় সমিতির এলাকা। মোট সদস্য সংখ্যা ১,২৫৮ জন। প্রতি ২৫ জন সদস্য পিছু একজন ডেলিগেট। সেই হিসেবে ডেলিগেট নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা ৫০টি। গত ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ওই সমবায় সমিতির ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। ৫০টি আসনের জন্য দু’দল মোট ৬২টি মনোনয়নপত্র জমা করেছিল। ১২ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন বোঝাপড়া করে ৫০টি আসনে একজন করে প্রার্থী দেয়। বাকিদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় তৃণমূল ও বিজেপি।

নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। অপরদিকে, মহম্মদপুর পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। মহম্মদপুরে ১৯টি আসনের মধ্যে সবকটি তৃণমূল নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছে। ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১টি আসনের মধ্যে ১৩টি তৃণমূল নিয়েছে। বাকি ১৮টি বিজেপিকে ছাড়া হয়েছে। সম্প্রতি, তমলুক কৃষি সামবায়ে ভোটের পর সাতখণ্ড জালপাই গ্রামে তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডল খুনের ঘটনায় ভেকুটিয়া-মহম্মদপুর এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ধনঞ্জয় ঘড়ার নামও জড়িয়েছে। তিনি বর্তমানে ঘরছাড়া। এই অবস্থায় বিজেপি নেতা সরোজ ভূঁইয়া, শঙ্কর মাইতি এবং গৌর মণ্ডল ওই সমবায় সমিতির ভোট দেখভাল করছেন।

অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভেকুটিয়া অঞ্চল সভাপতি কাঞ্চন দাস, স্থানীয় নেতা অরূপ গোল প্রমুখ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আসন বোঝাপড়া করেছেন। এবছর নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ৮টি সমবায় সমিতির ভোট হয়েছে। তারমধ্যে একটি ছাড়া সবকটি জায়গায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। সেই জায়গায় দীনবন্ধুপুর সমবায় সমিতিতে আসন সমঝোতাকে নিজেদের জয় হিসেবে। দেখছে তৃণমূল কংগ্রেসে।

তৃণমূল বিজেপির জোটকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক। তিনি বলেন, “” বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য সুদীপ দাস বলেন, “দু’দলের মধ্যে আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। আর একটা নির্বাচন করতে গেলে বিপুল খরচ তা বাঁচানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত। আমরা যত নির্বাচন হয়েছে তাতে জয়ী হয়েছি।” তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “দীনবন্ধুপুর সমবায় সমিতিতে আমরা ৩২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছি। বাকি আসনে বিনা ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি মনোনীত সদস্যরা। এখানে ভোট হচ্ছে না। নীচুতলায় দু’পক্ষের আলোচনায় এটা হয়েছে।”