AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Trinamool Wins: ফের ধরাশায়ী ‘রাম-বাম’ জোট, তালুক-গোপালপুর সমবায়ে বিপুল ভোটে জয় তৃণমূলের

Trinamool Wins: মোট আসনের সংখ্যা ছিল ৬২। যার মধ্যে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১২টিতে জয়লাভ করেছিল শাসক শিবির।

Trinamool Wins: ফের ধরাশায়ী ‘রাম-বাম’ জোট, তালুক-গোপালপুর সমবায়ে বিপুল ভোটে জয় তৃণমূলের
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2022 | 7:58 PM
Share

মহিষাদল : নন্দকুমারের (Nandakumar) সমবায় সমিতির নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল ‘রাম-বাম’ জোট। যা দেখে মহিষাদল থেকে শুরু করে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই গঠরাতে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জোট বেঁধেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল বাম-বিজেপি (Left-BJP)। কিন্তু, সুবিধা করতে পারেনি। দুই জায়গাতেই ধরাশায়ী হয়েছিল জোট। জোটের ছবি দেখা গিয়েছিল  মহিষাদল ব্লকের তালুক-গোপালপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে। তবে এখানেও বিরোধী জোটকে ধরাশায়ী করে বড় জয় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। 

মহিষাদল ব্লকের তালুক গোপালপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে মোট আসনের সংখ্যা ছিল ৬২। যার মধ্যে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১২টিতে জয়লাভ করেছিল শাসক শিবির। নির্বাচন হয় ৫০টি আসনে। ভোটার সংখ্যা ১২৭৩। এদিন ফলাফল বের হতে দেখা যায় ৫০টির মধ্যে জোট ১টি ও তৃণমূল ৪৯টি জয়লাভ করেছে। মোট হিসাবে সমবায়ের মোট আসনের ৬১টি চলে গিয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের দখলে। মাত্র একটি গিয়েছে বাম-বিজেপি জোটের দখলে। জয়ের পরেই রীতিমতো উৎসবে মাততে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। সবুজ আবিরের সঙ্গে বাজি ফাটিয়ে বিজয়োল্লাসে মাতেন তাঁরা।  

মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদর্শন মাইতি বলেন, “মোট আসন ছিল ৬২টি। তারমধ্যে তৃণমূল একাই পেয়েছে ৬১টি। বাকি অশুভ জোট যাঁরা করেছিল তাঁরা ১টা আসন পেয়েছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সব জায়গাতেই জিতবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সমস্ত মানুষ একযোগে চলতে চাইছে।” 

স্থানীয় বিজেপি নেতা সোমনাথ বক্সি বলেন, “সন্ত্রাসের মধ্যেও মানুষের যে জোট হয়েছিল তাতে আমরা একটা আসন পেয়েছি। এতে আমরা খুশি। কারণ, বাড়ি বাড়ি হুমকির মধ্যে চলেছে ভোট। তারপরেও বহু মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন। রাজনৈতিক দিক থেকে এখানে আমাদের কিছুই ছিল না। সেখানে চোরেদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই মানুষ মনে রাখবে। আমরা আলাদা করে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করিনি। এখন দুটো পক্ষ, একটা তৃণমূল আর একটা বিজেপি। বামেদের সঙ্গে আমাদের আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে। আর নীচুতলায় যেগুলি হচ্ছে সেগুলি মানুষ নিজেদের ইচ্ছায় করছেন। তাঁরা নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়ে চোরেদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।”