Nandigram: ‘কলকাতায় গিয়ে দিদিকে সব বলব’, নন্দীগ্রামে দোলা সেনের সামনেই বিক্ষোভ আবু তাহের অনুগামীদের
Dola Sen: বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে একটি বৈঠক ছিল। সেখানে ছিলেন দোলা সেন।
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে একটি বৈঠক ছিল। সেখানে ছিলেন দোলা সেন। নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার নেতাদের সেই বৈঠকে ডাকা হয়। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের ডাক পাননি বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁর অনুগামীরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাসের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দোলা সেন সামনে এগিয়ে এলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি বলেই অভিযোগ। ঘটনাস্থলে আসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। পরে ময়দানে নামেন আবু তাহের নিজে। তিনি অনুগামীদের সংযত হওয়ার বার্তা দিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দোলা সেন অবশ্য সে কথা মানতে চাননি। বরং তাঁর দাবি, “কোনও বিক্ষোভ হয়নি। কর্মীরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। খুব সুস্থভাবে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।” তবে আবু তাহের রাখঢাক করেননি। স্পষ্ট বলেন, “যারা বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপির পতাকা কাঁধে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন। তাঁদের ডাকা হয়েছে বৈঠকে। আর আমরা বাদ পড়ে গেলাম! যখন তা নিয়ে বিক্ষোভ করলাম, তখন আমাদের বৈঠকে ডাকা হল। এটা ঠিক নয়।”
একইসঙ্গে আবু তাহের বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, দশদিন আমাকে সময় দেওয়া হলে এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে দেখাব। কলকাতায় গিয়ে দিদিকে সব জানাব। আমরা সুশৃঙ্খলভাবে দলটা করতে চাই।” এদিকে তৃণমূলের ভিতরকার এই আকচাআকচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “তৃণমূল কোনও সাংগঠনিক দল নয়। পুরোদস্তুর কাটমানি নিয়ে চলে। যে যত বেশি কাটমানির ভাগ কালীঘাটে পাঠাতে পারবে তাদের অগ্রাধিকার।”
আরও পড়ুন: Madan Mitra on Kunal Ghosh: ‘চুনোপুঁটি এমএলএ’ মদন মিত্র এবার বোমা ফাটালেন কুণাল-পার্থকে নিয়ে
আরও পড়ুন: Weather Update: পয়লা বৈশাখেও ভ্যাপসা গরম নাকি ঝেঁপে বৃষ্টি, কালবৈশাখী, জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস