Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাসে নাম নেই, বিডিওর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ নন্দীগ্রামে

Purba Medinipur: দাউদপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সামসুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালে মাটির বাড়ির ছবি তুলে ২ হাজার ২০০ জনের আবাস যোজনার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল।

Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাসে নাম নেই, বিডিওর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ নন্দীগ্রামে
বিক্ষোভ নন্দীগ্রামে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2023 | 9:09 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: আবাস যোজনার (PMAY) তদন্তে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দল ঘুরে গিয়েছে জেলায়। এ জেলায় ১০০ শতাংশ অভিযোগেরই পক্ষে প্রমাণ মিলেছে, দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এবার অভিযোগ উঠল, শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামেই আবাস নিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিডিও। রাজ্যজুড়ে আবাস যোজনা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। যোগ্যরা ঘর পাননি বলে দিকে দিকে বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলও এসেছে। এবার সেই বিরোধী দলনেতার বিধানসভা এলাকায় বিক্ষোভের শিকার হলেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক। আবাস যোজনাকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের দাউদপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার নয়নানের ছয়ঘরিতে বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন একদল মানুষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় এমন কয়েকজন নাম এসেছে আবাসের তালিকায় যাঁদের পাকা বাড়ি আছে। বাদ গিয়েছে এমন নাম, যাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁই মাটির ঘরে। এরইমধ্যে রবিবার এলাকায় সার্ভে করতে গিয়েছিলেন বিডিও। অভিযোগ, সেখানেই আবাস যোজনার সার্ভেতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও সুনীতা সেনগুপ্তর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে ঘটনাস্থলে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে এ নিয়ে বিডিওকে ফোন করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

দাউদপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সামসুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালে মাটির বাড়ির ছবি তুলে ২ হাজার ২০০ জনের আবাস যোজনার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ বার সার্ভের পর আবাস যোজনার তালিকায় ১ হাজার ৩৮৯ জনের নাম আসে। সম্প্রতি আবাস প্রাপকদের একটি ‘ওয়েটিং লিস্ট’ও তৈরি হয়েছে। এই তালিকা থেকে ২৩৫ জনের নামের রেজিস্ট্রেশনও হয়ে গিয়েছে টাকা পাওয়ার জন্য। প্রধানের দাবি, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নামই ওই তালিকায় আছে। তিনি জানান, বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তাঁরা চলেও যান।

তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যও দেয়। বিজেপি নেতারা রাজ্যে ৪০ শতাংশের কথা ভুলে গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানুষকে উস্কে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হতে শুরু করেছে। সবে শুরু।