Laxmir Bhandar: ৩-৪ মাস ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডার না মেলার অভিযোগ, মহিলারা বললেন, ‘আমরা BJP করি তো তাই’
বিজেপির জেলা পারিষদের সদস্য উত্তম সিংহ অভিযোগ করে বলেন, বাকচা ও গোজিনা দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। তাই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। শুধু মাত্র দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও আরও ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন হাজার উপভোক্তার লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ।

ময়না: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, সেখানে গোজিনা ও বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহিলারা নাকি পাচ্ছেন না লক্ষ্মীর ভান্ডার। সেটা একদিন নয়, দু’দিন নয় দীর্ঘ তিন মাস ধরে মিলছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। সেই কারণেই কি বন্ধ লক্ষ্মীর ভান্ডার? প্রশ্ন তুলে পথে ময়না বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন মহিলারা।
বিজেপির জেলা পারিষদের সদস্য উত্তম সিংহ অভিযোগ করে বলেন, বাকচা ও গোজিনা দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। তাই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। শুধু মাত্র দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও আরও ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন হাজার উপভোক্তার লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ। যা নিয়ে মহিলাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। উত্তম বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার তৃণমূলের পার্টি ফান্ডের টাকা নয়। এটা সরকারের টাকা। আমার-আপনার করের টাকা। এটা ঠিক নয়। আজ নতুন বিডিও সাহেব এসেছেন। ওঁকে সব জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়।”
মমতা করণ মণ্ডল বলেন, “চার মাস ধরে বন্ধ লক্ষ্মীর ভান্ডার। আমি অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেছি।” আরও এক মহিলা সোনালী বিষ্ণ বলেন, “আমাদের কাছে টাকা ঢোকেনি। আমরা বিজেপি করি তাই হয়ত তিন মাস টাকা দেয়নি।”
ময়না পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি শাজাহান আলি জানান, দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত তিন মাস ও অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু লক্ষ্মী ভান্ডার বন্ধ আছে। ময়নার বিডিও মারফত জেলাশাসক দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
