AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sperm Donation: ২৫ লাখ সঙ্গে চারচাকা, বিজ্ঞাপন দেখে স্পার্ম ডোনার হতে গিয়ে পথে বসলেন ময়নার যুবক

Sperm Donation: যুবকের দাবি, বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরই তিনি বীর্য ডোনেটে সক্ষম কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর ভিডিয়োতে তাঁর নগ্ন শরীর দেখা হয়। সেই ভিডিয়ো রেকর্ডও করা হয়। পরবর্তীতে সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে চলতে থাকে ব্ল্যাকমেলিং।

Sperm Donation: ২৫ লাখ সঙ্গে চারচাকা, বিজ্ঞাপন দেখে স্পার্ম ডোনার হতে গিয়ে পথে বসলেন ময়নার যুবক
প্রতীকী ছবি Image Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2023 | 12:37 PM
Share

ময়না: বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল স্পার্ম ডোনার চাই। ডোনেট (Sperm Donation) করলেই মিলবে ২৪ লক্ষ টাকা। সঙ্গে থাকছে একটি চারচাকা গাড়ি। এই বিজ্ঞাপন দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি পূর্ব মেদিনীরপুরের (Purba Medinipur) ময়না থানার বিষ্ণুমিশ্রচকের বছর তেত্রিশের যুবক। যোগাযোগ করেন বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে। যাঁরা বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু, টাকার লোভই যে শেষ পর্যন্ত তাঁর জীবনে আনতে চলেছে তা তখনও জানতেন না ওই যুবক। শেষে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে তাঁকে খোঁয়াতে হল প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। যদিও এখনও টাকা চেয়ে চলেছে প্রতারকের দল। কিন্তু, সর্বশান্ত হয়ে এখন তিনি জেলার সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

যুবকের দাবি, বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরই তিনি বীর্য ডোনেটে সক্ষম কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর ভিডিয়োতে তাঁর নগ্ন শরীর দেখা হয়। সেই ভিডিয়ো রেকর্ডও করা হয়। পরবর্তীতে সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে চলতে থাকে ব্ল্যাকমেলিং। দফায় দফায় চাওয়া হয় টাকা। না দিলেই ওই যুবকের নগ্ন ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। 

সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত অগস্ট মাসে। বিষ্ণুমিশ্রচকের বাসিন্দা ওই যুবক কর্মসূত্রে থাকেন অন্ধ্রপ্রদেশে। অগস্টেই তিনি ফেসবুকে এই বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান। সেই ফাঁদে পা দিয়েই এখন মহা বিপদে পড়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) নিয়ম অনুযায়ী, স্পার্ম ডোনরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে স্পার্ম ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই যাওয়া উচিত। কিন্তু, কীভাবে এসব খোঁজ পাওয়া যায় তা জানেন না অনেকেই। বন্ধ্যাত্বের কারণে যাঁদের সত্যিই ডোনারের প্রয়োজন হয় তাঁরা অনেক সময়ই খোঁজ পান না ডোনােরের। তবে স্পার্ম ডোনেটের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হয় একগুচ্ছ কড়া নিয়ম। সঙ্গে থাকে প্রচুর গোপনীয়তাও।