CBI On Jhalda Councillor Death: ঝালদা কাউন্সিলর খুনে ধৃত সত্যবান নিয়ে বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা, তথ্য যাচাই করছে সিবিআই

CBI On Jhalda Councillor Death: ধৃত সত্যবান প্রামাণিক ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের সম্পাদক ছিলেন। তাঁর আরও দাবি, সত্যবানের হোটেল থেকেই ঝালদা থানার ডাকবাবু লরির স্লিপ বিলি করতেন।

CBI On Jhalda Councillor Death:  ঝালদা কাউন্সিলর খুনে ধৃত সত্যবান নিয়ে বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা, তথ্য যাচাই করছে সিবিআই
ঝালদা কাউন্সিলর খুন তদন্তে সিবিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2022 | 7:36 AM

পুরুলিয়া: ঝালদা কাউন্সিলর খুনে সিবিআই-এর প্রথম গ্রেফতারি সত্যবান প্রামাণিক। সত্যবানকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো। তাঁর দাবি, ধৃত সত্যবান প্রামাণিক ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের সম্পাদক ছিলেন। তাঁর আরও দাবি, সত্যবানের হোটেল থেকেই ঝালদা থানার ডাকবাবু লরির স্লিপ বিলি করতেন। সেই হোটেল থেকেই তপন কান্দুকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অনুমান করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ কাউন্সিলেরর দাদা নরেন কান্দুর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেই তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছে। সিবিআইয়ের অনুমান, এই হোটেলের বাইরেই প্রতিদিন তাদের বৈঠক হত, আড্ডা বসত এবং সেই সময়েই এই হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সিবিআইয়ের এই সন্দেহ কতটা সত্যি, সেই খোঁজখবর নিতে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল ধৃত সত্যবানের ভাইপো অজয় প্রামাণিকের সঙ্গে। নরেন কান্দু যে সত্যবানের হোটেল আসত সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনিও।

অজয় প্রামাণিক বলেন, “নরেন কান্দু শুধু কেন, সবাই আসত। নরেন কান্দু আসত। তপন কান্দুর ওয়ার্ডের আরও অনেকেই আসত। কাকে বারণ করব? হোটেল যখন হয়েছে, তখন তো সবাই আসবে।” নরেন কান্দুর সঙ্গে সত্যবান প্রামাণিকের জমি-জমা নিয়ে সম্পর্ক ছিল, সে কথাও জানিয়েছেন অজয় প্রামাণিক। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তপন কান্দু যে দিন খুন হয়েছেন, তারপর থেকেই নরেন কান্দু আর আসত না। তবে অজয় প্রামাণিক আরও বলেন, “আমার হোটেলের এখান থেকে কোনও খুনের পরিকল্পনা করা হয়নি। ভিতরে কেউ বসত না। যারা আসত বাইরে বসেই গল্প করত।”

উল্লেখ্য, এই সত্যবান প্রামাণিককে জেলা পুলিশ প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কিন্তু তখন জেলা পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে সিবিআই অফিসাররা ফের তাকে ডেকে পাঠান। সেই সময় তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু জায়গায় অসঙ্গতি দেখা যায়। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে আরও এমন কিছু তথ্য আসে, যাতে সত্যবানের সঙ্গে ঘটনায় যোগ থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এরপরই তাকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

উল্লেখ্য, সত্যবানের গ্রেফতারির পর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, “সিবিআই তদন্তে আমি খুশি। এই জন্যই আমি সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম। কারণ পুলিশরা কিছুই করেনি প্রথম থেকে। যখন এই সত্যবান প্রামাণিক ধরা পড়েছে, সিবিআই তদন্ত হলে বোঝা যাবে এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে। বোর্ড গঠন নিয়েই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

আরও পড়ুন: বেথুন কলেজের ‘অধ্যাপক’ ছাত্রীকে ডাকতেন বাড়িতে, মডেলিংয়েরও প্রস্তাব দেন! ছাত্রীকে যেভাবে দেখল পরিবার…