Jhalda Murder: ‘পুলিশের মদতে’ গুলি করে হত্যা! ঝালদার কাউন্সিলর খুনে নিরপক্ষ তদন্তের দাবিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে কংগ্রেস
Tapan Kandu Death: শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত পিটিশন জমা দিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক পূরব কুমার বসু। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদী পূরব।
ঝালদা : পুরুলিয়া ঝালদা পুরসভার সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে পুলিশের মদতে গুলি করে হত্যা (Jhalda Congress Councillor Murder) করেছে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী। অভিযোগ কংগ্রেস শিবিরের। তাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতারা। শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত পিটিশন জমা দিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক পূরব কুমার বসু। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদী পূরব।
কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বিশেষ করে ঝালদা থানার আইসির নাম বার বার উঠে এসেছে কংগ্রেস কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর থেকে। পরিবারের তরফে এমনও অভিযোগ করা হয়েছিল যে ঝালদা থানার আইসি নাকি মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। নিহত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ তেমনই। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “এই ঘটনায় সকলে যুক্ত। এমনকী ঝালদা থানার আইসি পর্যন্ত যুক্ত রয়েছেন। একদিন আগেই ওকে (তপন কান্দু) ডেকে হুমকি দিয়েছেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। না হলে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে।”
এদিকে ঘটনার পর থেকে কংগ্রেসের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল রাজ্যের শাসক শিবিরের দিকে। বিশেষ করে ঝালদা পুরসভার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই এই খুন বলে দাবি করছে কংগ্রেস। ঝালদা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়ে ছিল, সেই কারণে পুরসভার দখল নিতেই এই খুন বলে দাবি কংগ্রেসের। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি তদন্তের উপর তাঁদের ভরসা নেই। এই পরিস্থিতিতে এবার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস শিবির।
ঘটনায় তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাড়িয়েছিল দীপক। সুতরাং, কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় পারিবারিক কোনও আক্রোশ ছিল কি না, সেই সবও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : Babul Supriyo: বাবুলের ভোলবদল! দল বদলের পর বদলেছে বেশ ভূষাও, কোনটা আসল? কোনটা নকল?