Purulia TMC Gram Panchayet: সদলবলে বিজেপি প্রধানের তৃণমূলের যোগ, পঞ্চায়েত ‘দখল’ করল ঘাসফুল
Purulia TMC Gram Panchayet: মোট ১৬ আসনের আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনের নিরিখে ১৩ টি আসনে বিজেপি, ২ টি আসনে তৃণমূল ও ১টি আসনে সিপিএমের সদস্যরা জয়লাভ করেছিলেন ।
পুরুলিয়া: বিজেপি পরিচালিত আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সদলবলে চলে গেলেন তৃণমূলে। ফলে পঞ্চায়েতটি বিজেপির থেকে তৃণমূলের হাতে চলে এল। রবিবার কাশীপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি প্রধান জ্যোতি লায়েক সহ বিজেপির ২ সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। এদিন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃনমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা ও কর্মীরা।
পরিসংখ্যান
মোট ১৬ আসনের আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনের নিরিখে ১৩ টি আসনে বিজেপি, ২ টি আসনে তৃণমূল ও ১টি আসনে সিপিএমের সদস্যরা জয়লাভ করেছিলেন । এরপর বিজেপির এক সদস্যের মৃত্যু হয়। অন্য আরও দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। আজ প্রধান-সহ আরও দুই জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় সাতটি।
প্রতিক্রিয়া
এদিন বিজেপির প্রধান তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূলের দাবি এই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তারা। যোগদানকারী প্রধান জ্যোতি লায়েক জানান, “বিজেপিতে থেকে মানুষ এবং এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আদর্শ মেনে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করলাম।“ তাঁর কথায়, “অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলককাজগুলি আমাকে উদ্বুদ্ধ করে। আমি গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। উন্নয়ন প্রয়োজন গ্রামে। তাই মুখ্য়মন্ত্রীর আদর্শেই অনুপ্রাণিত হয়ে যোগদান করলাম।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া দাবি করেন, “পাড়া ব্লকের অন্তর্গত আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ও সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করায় এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এল। এলাকার উন্নয়নের জন্য এবার কাজ হবে।”
অপরদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বি.ডি.ও কে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “সারা বাংলায় একই কাজ করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে থেকে ক্ষমতাটা কীভাবে হাতের মুঠোয় নেবে, তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেটা প্রশাসনকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে হোক, কিংবা বিভিন্ন রকম টোপ দিয়ে ভয় দেখিয়ে হোক। পঞ্চায়েতগুলিকে কাজ করতে দিচ্ছে না। বিজেপির ওপর গোটা তৃণমূল রয়েছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “এই প্রধানের বিরুদ্ধে আমাদের দলের কার্যকর্তারাই অভিযোগ করেছে। নীচু তলার কর্মীদের দিয়ে পঞ্চায়েতে বরাদ্দ কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা কুক্ষিগত করতে চাইছে তৃণমূল। তাই এদেরকে দলে নিচ্ছে। স্বচ্ছভাবে পঞ্চায়েতগুলিতে চলতে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ‘যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, ব্রিটেনে ওমিক্রনের দাপট দেখে সতর্কবার্তা এইমস প্রধানের
আরও পড়ুন: বিধায়কের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের! রাতের অন্ধকারে পরপর গুলিতে বিদ্ধ তৃণমূল নেতা