Raghunathpur: তৃণমূল কাউন্সিলরদের অন্তর্দ্বন্দ্ব! পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ডটাই ভেঙে গেল
Raghunathpur: ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর দীনেশ শুক্লা বলেন, "তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অনাস্থা ভোটের আগের দিন ভেঙে দেওয়া হল। তৃণমূলের চুরির দায় আমরা কেন নেবো? ৩বছর ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলাম তখন কোন কেউ শোনেনি? আমরা আইনের দারস্থ হব।"

পুরুলিয়া: রঘুনাথপুর পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ডটাই ভেঙে দিল রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রঘুনাথপুরের এসডিও-কে। মঙ্গলবার সকালে পুরসভায় এসে দায়িত্ব নিয়েছেন এসডিও বিবেক পঙ্কজ। তিনি জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরসভায় নির্বাচন হবে। বিরোধীদের দাবি, পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলরদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই এই অবস্থা। ঘটনাটিকে গণতন্ত্রের ওপরে আঘাত হিসাবেই দেখছেন বিরোধীরা। তবে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অপসারিত পুরপ্রধান তরনি বাউরি।
রঘুনাথপুর পৌরসভার মোট ১৩টি আসনের মধ্যে ১০টি আসন তৃণমূল কংগ্রেস,২টি আসনে কংগ্রেস এবং ১টি আসনে বিজেপির দখলে রয়েছে। গত মাসের ২৪তারিখ তৃণমূল পরিচালিত রঘুনাথপুর পৌরসভার পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই ৬কাউন্সিলর কংগ্রেসের ১জনকে নিয়ে অনাস্থা এনেছিলেন। রঘুনাথপুর মহকুমা শাসকের কাছে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তাঁরা । দলেরই কাউন্সিলার অভিযোগ করেছিলেন পৌরসভার আধিকারিককে সঙ্গে নিয়েই এই দুর্নীতি করছেন পৌর প্রধান। আগামীকাল পৌরসভায় অনাস্থার সভা হওয়ার কথা ছিল তার ২৪ঘন্টা আগেই বোর্ড ভেঙে দিল রাজ্য পুর ও নগরন্নয়ন দফতর।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর দীনেশ শুক্লা বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অনাস্থা ভোটের আগের দিন ভেঙে দেওয়া হল। তৃণমূলের চুরির দায় আমরা কেন নেবো? ৩বছর ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলাম তখন কোন কেউ শোনেনি? আমরা আইনের দারস্থ হব।”
অপসারিত পুর প্রধান তরনি বাউড়ি বলেন, “কয়েকজন কাউন্সিলারের মনোভাব কীভাবে চুরি করব, কীভাবে টাকা পাব। তাদের শুধু টাকা চাই তারই প্রতিবাদ করে গিয়েছি। সরকারের সিন্ধান্ত অনুযায়ী মহকুমা শাসককে দায়িত্ব দিয়েছি। দলের কাউন্সিলরদের আচরণ জেলা ও রাজ্যকে জানানো হয়েছে। রাজের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রণব দেওঘরিয়ার বক্তব্য, “আমরা অনাস্থা আনতে চাইনি দলের প্রাক্তন সভাপতিকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই অনাস্থা প্রস্তাব জমা করেছিলাম, তারপরেও তলবিসভা ডাকা হয়নি। আমরা নিজেরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”





