AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mid-day meal: চাল পাচার করছিলেন স্কুলের শিক্ষক? গ্রামবাসী ধরলেন হাতেনাতে

মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। পাচার হওয়া বস্তা বন্দি চাল বোঝাই টোটো আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। অবস্থা সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

Mid-day meal: চাল পাচার করছিলেন স্কুলের শিক্ষক? গ্রামবাসী ধরলেন হাতেনাতে
শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাল পাচারের অভিযোগImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2025 | 9:52 PM
Share

পুরুলিয়া: স্কুলের মিড ডে মিলের চাল পাচারের অভিযোগ। হাতে-নাতে ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। পাচার হওয়া বস্তা বন্দি চাল বোঝাই টোটো আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। অবস্থা সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার বলরামপুর দাঁতিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্কুল থেকে টোটো রিক্সা করে দুই বস্তা চাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় গ্রামবাসীরা ওই টোটোটিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর টোটো ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে চেপে ধরলে টোটো চালক স্বীকার করে নেন যে, প্রধান শিক্ষক নিজেই ওই এক কুইন্টাল চাল টোটোতে তুলে দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

একই সঙ্গে গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৯ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার মিড-ডে-মিল থেকেও বঞ্চিত থাকতে হয় পড়ুয়াদের। শুধু তাই নয়, কয়েক বছর ধরে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নির্ধারিত পোশাক, জুতো ইত্যাদিও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। যদিও, এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ মণ্ডল বলেন, “আমার উপর চক্রান্ত হচ্ছে আমি কিছুই করিনি।”

পাশাপাশি বলরামপুর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সেবা মাহাতো জানান, “বিষয়টি থানা মারফত জানতে পারি। এখনো পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি গ্রামবাসীদের তরফ থেকে। যদি অভিযোগ আসে সেক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

এই নিয়ে বিজেপি শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপি নেতা গৌতম রায় জানান, বর্তমান সরকার শিক্ষার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। শিক্ষকদের চাল চুড়িতে লিপ্ত করে দিয়েছে। সেই টাকা তৃণমূলের পার্টি অফিসের মধ্যেমে কলকাতায় যায়। শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা চাই সঠিক তদন্ত করে যারা দোষী তাদের বিরুধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো জানান, চাল পাচারের অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমরা কখনোই এই ধরণের কাজকে সমর্থন করি না।