Kultali: বাংলাদেশে আটক কুলতলির ট্রলার সহ ১৪ জন মৎস্যজীবী
Kultali: শনিবার মৎস্যজীবীদের ওই ট্রলারটির ইঞ্জিন গভীর সমুদ্রে হঠাৎই বিকল হয়ে পড়ে। প্রবল ঢেউয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়ে 'শুভযাত্রা' নামে ট্রলারটি সহ ১৪ জন মৎস্যজীবী। বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করার পরেই নৌবাহিনী গ্রেফতার করে ওই চোদ্দজন মৎস্যজীবীদেরকে।

কুলতলি: মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। সেই সময় হঠাৎ করে সমুদ্রে প্রবল ঝড় ওঠে। আর তাতেই কোনওভাবে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের জলসীমায়। এরপরই বিপদ। বাংলাদেশে ট্রলার নিয়ে আটকে গেলেন ১৪ জন মৎস্যজীবী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির শানকিজাহান গ্রাম। সেখানকারই চোদ্দ জন মৎস্যজীবী সোমবার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে FB শুভযাত্রা নামের একটি ট্রলার। শনিবার মৎস্যজীবীদের ওই ট্রলারটির ইঞ্জিন গভীর সমুদ্রে হঠাৎই বিকল হয়ে পড়ে। প্রবল ঢেউয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়ে ‘শুভযাত্রা’ নামে ট্রলারটি সহ ১৪ জন মৎস্যজীবী। বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করার পরেই নৌবাহিনী গ্রেফতার করে ওই চোদ্দজন মৎস্যজীবীদেরকে।
ট্রলার মালিক ধলুরাম দাস বলেন, “আমার ট্রলারটি ফিসিংয়ের জন্য বেরিয়ে যায়। পূর্ব আর দক্ষিণ পূর্ব দিকে ফিসিং করছিল। কোনও ভাবে জল ঢুকে যায় ইঞ্জিনে। তখন বঙ্গোপসাগরে ভাসছিল। সেই সময় বিজিবি ওদের ধরে নিয়ে যায়। আমরা চাইছি দ্রুত যাতে ওদের ফিরিয়ে আনা হোক।” মৎস্যজীবী ইউনিয়ন নেতা গোপাল দাস বলেন, “একটা ট্রলার বঙ্গোপসাগরে গিয়েছিল। সেটা কোনও ভাবে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জল সীমায় ঢুকে পড়ে। বাংলাদেশের নৌবাহিনী সেই ট্রলার মৎস্যজীবীদের নিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়। তারপর আমরা দেখলাম ওরা আমাদের মৎস্যজীবীদের দড়ি বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে। যা দেখে আমাদের খারাপ লাগছে। সরকারের কাছে আবেদন করছি যাতে আমাদের মৎস্যজীবীদের দ্রুত এ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। সেই কারণে ইউনিয়নের তরফে দিদির কাছে আবেদন করছি।”
