Canning Murder: ওরা আসছে, খবর দিয়েছিলেন আফতাবই, ক্যানিং-এর হাড়হিম করা খুনের ঘটনায় ধৃত এক

Canning Murder: বৃহস্পতিবার রাস্তার ধারে তিনটি দেহ পরপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহগুলির অবস্থায় এমন ছিল, তা দেখে শণাক্ত করার উপায় ছিল না

Canning Murder: ওরা আসছে, খবর দিয়েছিলেন আফতাবই, ক্যানিং-এর হাড়হিম করা খুনের ঘটনায় ধৃত এক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 10:34 AM

ক্যানিং : ভয়াবহ খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এ একসঙ্গে তিনজনকে খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনকে গুলি করে ও একজনকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনায় আফতাবউদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের খুন করা হয়েছে, তাঁদের ওপর এই আফতাবউদ্দিন নজর রাখছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

ক্যানিং থানার দক্ষিণ প্রান্তে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার ধারে তিনটি দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামে তৈরি হয় ব্যাপক উত্তেজনা।

ধৃত আফতাবউদ্দিন শেখ এফআইআরের তালিকায় থাকা বসির শেখের ভাই। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ঘটনার দিন সকালে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজির ওপর নজর রাখছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বপন মাজি কখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইকে চেপে হেড়োভাঙা বাজারে দলীয় অফিসে যান, সে দিকেই নজর রেখেছিলেন আফতাব। তিনিই খবর দেন তাঁর দাদা বসির শেখ ও বাপি ওরফে দেলোয়াড় মণ্ডলকে। সেই খবর মতো রফিকুল, বাপি, বসিররা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরাই স্বপন মাজিকে বাইক সহ আটকে দেন রাস্তার মাঝে। ঘটনার সময় আফতাবও ছিলেন সেখানে।

এফআইআর-এর তালিকায় রয়েছেন রফিকুল সর্দার, জালাল উদ্দিন আখন্দ, বাপি শেখ, বাপি ওরফে দেলোযার মণ্ডল, এয়াইদুল্লা মণ্ডল, আলি হোসেন লস্কর।

মৃতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি এবং ভূতনাথ প্রামাণিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঝন্টু হালদার নামে আর এক ব্যক্তিকে ধারাল অস্ত্রের কোপ দিয়ে মারা হয়েছে।

ক্যানিংয়ে খুনের ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক টিম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তাঁরা। শুক্রবার ঘটনাস্থলের পাশে মাঠ থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। পরিবারের তরফে অভিযোগ, আগেও একাধিকবার খুনের চেষ্টা হয়েছিল। তখন স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশকে জানানো হয়েছিল পরিবারের তরফে। তারপরেও তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ভাবেনি পুলিশ। যার ফলস্বরূপ নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে স্বপন মাঝি ও তাঁর সঙ্গীদের।