India Book of Records: মাত্র ২ বছর বয়সেই পড়াশোনায় কামাল! ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুললে ফেলল ভাঙড়ের খুদে
India Book of Records: ছেলের যখন মাত্র তখনই থেকেই তাঁকে ছেলেকে পড়াতে দিন রাত এক করে দিয়েছিলেন পেশায় লিফট টেকনিশিয়ান অহিদুল ও তাঁর স্ত্রী। তাতেই মেলে সাফল্য। অল্প দিনেই ছোট্ট এই শিশুটি বাবা-মায়ের শেখানো শব্দ সহজেই আত্মস্থ করে ফেলে।

ভাঙড়: মাত্র দু’বছর চার মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল ভাঙড়ের এক খুদের। এই বয়সেই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েই এই কৃতিত্ব অর্জন। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় কবিতা, মাস ও দিনের নাম তো ঠোঁটস্থই, সঙ্গে নানা ব্যবহারিক শব্দের যথাযথ উচ্চারণেও তার জুড়ি মেলা ভার। তাতেই খুশির হাওয়া পরিবারে। ভাঙড় দু’ নম্বর ব্লকের সোনপুর এলাকায় বাড়ি ওইদুল ইসলামের। তাঁর একমাত্র পুত্র আরফাজ আরিনের নাম উঠে গিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে।
ছেলের যখন মাত্র তখনই থেকেই তাঁকে ছেলেকে পড়াতে দিন রাত এক করে দিয়েছিলেন পেশায় লিফট টেকনিশিয়ান অহিদুল ও তাঁর স্ত্রী। তাতেই মেলে সাফল্য। অল্প দিনেই ছোট্ট এই শিশুটি বাবা-মায়ের শেখানো শব্দ সহজেই আত্মস্থ করে ফেলে। স্বল্প পরিসরের অধ্যবসাতেই ইংরেজি শব্দের প্রতি তার দখল দৃঢ় হয়। এখন ইংরেজি বর্ণমালা, ইংরেজি কবিতা, দিন ও মাসের নামের পাশাপাশি বাংলা ভাষাতেও বর্ণমালা-কবিতা, সপ্তাহের সাতদিন, বারো মাসের নাম সহজেই মুখস্থ করে ফেলে এই খুদে ছাত্রটি।
ছেলের এই প্রতিভা দেখে অনলাইনে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অহিদুল। মেইল মারফত ছেলের প্রতিভার ভিডিয়ো পাঠায়। যা দেখে মুখ হয়ে যান ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের কর্তারাও। পাল্টা যোগাযোগ করা হয় অহিদুলের সঙ্গে। তারপরই তুলে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মান। পড়াশোনা করে আরও বড় হোক ছেলে। আগামীদিনে ছেলেকে আইপিএস অফিসার করার ইচ্ছা অহিদুলের। অহিদুলের ছেলের এই অভাবনবীয় কৃতিত্বে খুশি পাড়া-প্রতিবেশীরাও।





