Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arabul Islam-Saokat Molla: শেষমেশ শওকতকে নিয়ে ‘বড়’ পদক্ষেপ! কাজটা করেই ফেললেন আরাবুল

Bahangar: জানা যাচ্ছে, বুধবারই আরাবুল ও তাঁর পুত্র হাকিবুল অভিযোগ দায়ের করে এসেছেন। তবে শুধু শওকত নন, তাঁর পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সাবির আলি সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলাম এবং বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যের নাম উল্লেখ করেছেন।

Arabul Islam-Saokat Molla: শেষমেশ শওকতকে নিয়ে 'বড়' পদক্ষেপ! কাজটা করেই ফেললেন আরাবুল
আরাবুল ইসলাম ও শওকত মোল্লা Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2025 | 9:18 AM

পোলেরহাট: ঝামেলা চলছিলই। তবে বুধবার যেন তা পৌঁছল চরমে। নিজের গড়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভাঙড়ের ‘তাজা’ নেতা আরাবুল ইসলাম। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন প্রকাশ্যে এসেছিল গোষ্ঠী কোন্দল। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় আরাবুলের গাড়ি। শওকত মোল্লার অনুগামীদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন আরাবুল। এবার সেই ঘটনায় শওকতের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন আরাবুল ইসলাম। পোলেরহাট থানায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তিনি।

জানা যাচ্ছে, বুধবারই আরাবুল ও তাঁর পুত্র হাকিবুল অভিযোগ দায়ের করে এসেছেন। তবে শুধু শওকত নন, তাঁর পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সাবির আলি সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলাম এবং বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যের নাম উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগপত্রে প্রাণহাণিরও আশঙ্কা করেছেন। আরাবুল লিখেছেন, “এই সমস্ত দুষ্কৃতীরা যখন তখন আমার উপরে আক্রমণ করতে পারে। সেই জন্য আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” বস্তুত, সম্প্রতি হামলার আশঙ্কা থেকে হাইকোর্টে নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন আরাবুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, আরাবুল ও শওকতের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই। জেল থেকে ফিরে আসার পর সেই ঝামেলা আরও যেন বেড়ে গিয়েছিল। দুই নেতাই একের অপরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দাগতে শুরু করেছিলেন। এরপর গতকাল তৃণমূলের  প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। সেই সময় সকালে ওয়াড়িতে আরাবুল ইসলাম যখন দলের পতাকা তোলার পর বেরিয়ে আসছিলেন, তখনই তাঁর গাড়ির ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চলে। দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরে লেদার কমপ্লেক্স থানা ও  হাতিশালা থানার পুলিশ গিয়ে ছত্রভঙ্গ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। ঘটনায় শওকত মোল্লার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠতেই তিনি বলেছিলেন, “শওকত মোল্লার বক্তব্য, “ওয়াড়ি বুথে পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান, কর্মাধ্যক্ষ-সকলেই পতাকা উত্তোলন করেছেন। তারপর কয়েকজনকে নিয়ে এসে সেই পতাকা নামিয়ে আবার তুলছিলেন, তখন প্রতিবাদ করেছেন।”