Arrest: ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে ‘হাফ মার্ডার’, ‘ফুল মার্ডার’-এর বরাত নেন ক্যানিংয়ের বুলেট!
Canning: ক্যানিং থানার পুলিশের কাছে এমন খবর আসতেই তদন্তে নামে টিম। এরপরই সোমবার ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ধরে বুলেটকে। ধৃতের বাড়ি থেকে একটি বন্দুক, দু' রাউন্ড কার্তুজ ও বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা…! প্রতিদিন চোখ কপালে ওঠানোর মতো ঘটনার কমতি নেই ঠিকই। কিন্তু তা বলে কার্ড ছাপিয়ে মানুষ খুন করার বরাত নেওয়ার বিজ্ঞাপন? এমনও হতে পারে, শুনেই চোখ ছানাবড়া ক্যানিংবাসীর। মানুষ খুন করার জন্য অর্ডার নেওয়া হয় বলে কার্ড ছাপিয়ে গ্রেফতারও হয়েছেন বুলেট নামে এক যুবক। ক্যানিংয়ের গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা। সেখানেই বাড়ি মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটের। এই বুলেটের বিরুদ্ধেই কার্ড ছাপিয়ে মানুষ মারার বরাত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভিজিটিং কার্ডে স্পষ্ট হরফে লেখা রয়েছে, ‘মানুষ হাফ মার্ডার ও ফুল মার্ডার করা হয়।’ যোগাযোগের জন্য দেওয়া রয়েছে মোবাইল নম্বর। সঙ্গে লাল কালিতে বড় করে লেখা ‘বুলেট’।
ক্যানিং থানার পুলিশের কাছে এমন খবর আসতেই তদন্তে নামে টিম। এরপরই সোমবার ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ধরে বুলেটকে। ধৃতের বাড়ি থেকে একটি বন্দুক, দু’ রাউন্ড কার্তুজ ও বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। ক্যানিং থানার পুলিশের তরফে ধৃতকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে আদালত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই বুলেট বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তারও আগে ২০২১ সালের ৭ জুলাই গোপালপুর পঞ্চায়েতের বধুকুলার ধর্মতলা গ্রামে খুন হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি-সহ তিনজন। সেই খুনের ঘটনায়ও নাম জড়ায় ধৃতের। তবে এভাবে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে মানুষ মারার বরাত নেওয়ার নমুনা এর আগে জানা যায়নি। এই কার্ড তিনি কোথা থেকে ছাপালেন, আর কে এই ঘটনায় যুক্ত, সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।