Video: অরক্ষিত মুখে ঘুরছিলেন তৃণমূল নেতা, ধমক দিয়ে মাস্ক পরালেন থানার বড়বাবু!
Bhangar: কোভিড বিধি ভঙ্গ করতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে রুখে দাঁড়ান কাশীপুর থানার ওসি প্রদীপ পাল। তৃণমূল নেতা মঞ্চ থেকে নামতেই তাঁকে ডেকে এনে ধমক দেন বড়বাবু।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সামাজিক অনুষ্ঠানে মাস্ক না পরেই অরক্ষিত মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। দেখতে পেয়ে ওই নেতাকে ধরে ডেকে ধমকে দিলেন থানার বড়বাবু! নিজের হাতে পরিয়ে দিলেন মাস্ক। মাথায় হেলমেট! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কাশীপুর থানার বিজয়গঞ্জ বাজারে।
ঠিক কী হয়েছিল? রবিবার একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। আয়োজক ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি কাশেফুল করুব খান। সেই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, আরাবুল ইসলাম, কাইজ়ার আহমেদ প্রমুখ। কিন্তু, সকলের মুখে মাস্ক থাকলেও ভোপালির ২ নম্বর ব্লকের অঞ্চল প্রধান মোদাস হোসেনের মুখে কোনও মাস্ক ছিল না। এদিকে জমায়েতের মধ্যে কোভিড বিধি ভঙ্গ করে একরকম গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা।
কোভিড বিধি ভঙ্গ করতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে রুখে দাঁড়ান কাশীপুর থানার ওসি প্রদীপ পাল। তৃণমূল নেতা মঞ্চ থেকে নামতেই তাঁকে ডেকে এনে ধমক দেন বড়বাবু। স্পষ্ট জানান,কোভিড বিধি ভঙ্গ করে কোনও জমায়েত চলবে না। শুধু তাই নয়, নিজে হাতে ওই তৃণমূল নেতাকে মাস্কও পরিয়ে দেন পুলিশকর্তা।
কিন্তু কেন মাস্ক পরেননি তৃণমূল নেতা? প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল নেতা মোদাস বলেন, “আমার দুটো ডোজ নেওয়া রয়েছে। তাই মাস্ক পরিনি। আমার থেকে তো করোনা ছড়াবে না।” পাল্টা, পুলিশ কর্তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, টিকার দুটো ডোজ় নিলেও সংক্রমণ হতে পারে। টিকা কেবল করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমায়। নির্মূল করে না। তাই মাস্ক পরতেই হবে। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজ়ার। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধি। এই বলেই ওই তৃণমূল নেতাকে মুখে মাস্ক আর মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেন পুলিশ কর্তা।
@AITCofficial | সামাজিক অনুষ্ঠানে মাস্ক না পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা। নেতাকে ধরে ধমকে দিলেন থানার বড়বাবু! পরিয়ে দিলেন মাস্ক, মাথায় হেলমেট! কাশীপুর থানার বিজয়গঞ্জ বাজারের ঘটনা
সব খবর সবার আগে: https://t.co/WHPSwzYdl8#MaskUpWestBengal | @wbdhfw | @WBPolice pic.twitter.com/bCF40ewm6m
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) October 25, 2021
প্রসঙ্গত, পুজোর পর থেকেই ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। রাশ টানতে তাই রাতের বিধিনিষেধে জোর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ইতমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে কনটেইনমেন্ট জ়োন।
রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi)। বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, আবার রাতের বিধি-নিষেধ কার্যকরী করতে হবে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কড়াকড়িভাবে রাতের বিধি-নিষেধ কার্যকরী করতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে। এছাড়া ভ্যাকসিনেশন বাড়ানোর জন্য জেলাশাসকদের বিশেষ উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, এখনও করোনা আক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। কলকাতায় আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে বটে। তবে সেদিকে কড়া নজর দিতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি জেলায় টিকাকরণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে জেলা শাসকদের। একই সঙ্গে করোনা নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির দিকেও জোর দিতে বলেন দ্বিবেদী।
এই প্রেক্ষিতে বৈঠকে মুখ্যসচিব টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি যে অঞ্চলগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেনছ। যাতে পুনরায় সংক্রমণ না বাড়ে তাই এই নির্দেশ। জেলা শাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব এও বলেন, তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) এর ইঙ্গিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে পরিকাঠামো গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে হবে। ভেন্টিলেশন বাড়ানো, বেড বাড়ানো, আক্রান্ত শিশুদের জন্য হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে বলেন মুখ্য়সচিব।
তাছাড়া করোনা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধপত্র মজুত আছে এবং কোন কোন ওষুধপত্রের প্রয়োজন রয়েছে তার তালিকা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের বলা হয়েছে। এছাড়া এদিনের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এও জানান, নোডাল অফিসার দিয়ে এলাকাভিত্তিক করোনা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জেলাশাসক ও আধিকারিকদের জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
আরও পড়ুন: TMC: অবশেষে বাতিল হয়ে গেল ফিরহাদের সভা, নেপথ্যে কি গোষ্ঠীকোন্দল?