Diamond Harbour News: ৩৭ বছর পর মিলল স্ত্রীর খোঁজ, দ্বিতীয়কে রেখেই প্রথম বউয়ের সঙ্গে পুনর্মিলন প্রৌঢ়ের
Diamond Harbour News: শেষমেষ সেখানকার প্রশাসনের উদ্যোগে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে গানু বাউড়িকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ থেকে।
ডায়মন্ড হারবার: নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলেন স্ত্রীকে। কোন খোঁজখবর না পেয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে সংসার পেতেছিলেন ঝাড়খন্ডের বোকারো জেলার চৌরা গ্রামের বাসিন্দা উমাপদ বাউড়ি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পনেরো বছর পর স্ত্রী গানু বাউড়ির নামে ডেথ সার্টিফিকেটও হাতে পেয়েছিলেন তিনি। আচমকা প্রায় ৩৭ বছর পর স্ত্রীয়ের খোঁজ পেয়ে আতান্তরে পড়েছিলেন উমাপদ। শেষমেষ সেখানকার প্রশাসনের উদ্যোগে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে গানু বাউড়িকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ থেকে।
রবিবার পড়ন্ত বিকেলে হ্যাম রেডিয়োর সৌজন্যে শয়ে শয়ে বাসিন্দাদের ভিড়ের মাঝে স্বামী-স্ত্রীর পুনর্মিলন হল সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে। যদিও পরে কাকদ্বীপে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের অফিসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকেশ সিংহের উপস্থিতিতে গানুকে তুলে দেওয়া হয় উমাপদ বাউড়ির হাতে।
দিন পনেরো আগে এক পর্যটকের কাছ থেকে খবর পেয়ে হ্যাম রেডিয়োর সদস্যরা যোগাযোগ করেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পরে হ্যাম রেডিয়োর সদস্যরা পুলিশের সাহায্য নিয়ে ফ্রেজারগঞ্জের বাসিন্দা বানেশ্বর মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন গানু বাউড়ির সঙ্গে।
জানা যায়, গত ৩৭ বছর আগে বছর পঁয়ষট্টির ওই মহিলাকে ভারসাম্যহীন অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে রেখে সেবা শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তুলেছেন বানেশ্বর মন্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। ততদিনে গানুর নাম বদলে ভবানী মন্ডল নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল ফ্রেজারগঞ্জের বাসিন্দাদের কাছে। এরপর হ্যাম রেডিয়োর পক্ষ মহিলার পরিবারের খোঁজ শুরু করা হয়। মহিলার কথা রেকর্ড করে ভাষাগত টান অনুযায়ী ঝাড়খন্ডের বোকারো জেলাকে চিহ্নিত করে হ্যাম রেডিয়ো যোগাযোগ করে সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে।
এরপর স্থানীয় পিন্দ্রজোড়া থানার মাধ্যমে জানা যায়, নিখোঁজ গানু বাউড়ি সেখানকার চৌরা গ্রামের বাসিন্দা। খোঁজ মেলে পরিবারের। জানা যায়, ঠিক নভেম্বর মাসের পড়ন্ত বিকেলে পাশের গ্রামের হাটে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি গানু। দিনের পর দিন মাসের পর মাস পেরিয়ে উন্মাদ গানু পৌঁছেছিলেন বকখালির সমুদ্র সৈকতে।